১৩৪৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] আবদুর রহমান ইবনি আওফ [রাদি.] ও যুবায়র [রাদি.]-কে তাহাদের শরীরে চুলকানি থাকায় রেশমী জামা পরিধান করিতে অনুমতি দিয়েছিলেন। [বোখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ৯১ হাদীস নং ২৯১৯; মুসলিম ৩৭/৩ হাঃ ২০৭৬] অলঙ্কার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্র ব্যবহার ও তা থেকে পানি পান করা নিষিদ্ধ।
১৩৩৭. উম্মু সালামাহ [রাদি. হইতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে সে তো তার উদরে জাহান্নামের আগুন প্রবেশ করায়। [বোখারী পর্ব ৭৪ অধ্যায় ২৮ হাদীস নং ৫৬৩৪; মুসলিম ৩৭/১, হাঃ ২০৬৫] অলঙ্কার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস ১৩৩৮. বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, […]
সলাতুল খাউফ বা ভয়ের সলাত।
৪৮১. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] একদলকে সাথে নিয়ে সলাত আদায় করিয়াছেন। অন্যদরকে রেখেছেন শত্রুর মুকাবিলায়। তারপর সলাতরত দলটি এক রাকআত আদায় করে শত্রুর মুকাবিলায় নিজ সাথীদের স্থানে চলে গেলেন। অতঃপর অন্য দলটি আসলেন। রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাহাদেরকে নিয়ে এক রাকআত সলাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। এরপর তাঁরা […]
প্রত্যেক আযান ও ইক্বামাতের মধ্যে সলাত।
৪৮০. আবদুল্লাহ্ ইবনি মুগাফফাল মুযানী [রাযি হইতে বর্ণিতঃ রাসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মধ্যে সলাত রয়েছে। একথা তিনি তিনবার বলেন, [তারপর বলেন] যে চায় তার জন্য। [বোখারী পর্ব ১০ : /১৬ হাঃ ৬২৪, মুসলিম ৬/৫৬, হাঃ ৮৩৮] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
মাগরিব সলাতের পূর্বে দু রাকআত সলাত মুস্তাহাব।
৪৭৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, মুআযযিন যখন আযান দিতো, তখন নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহাবীগণের মধ্যে কয়েকজন নাবী [সাঃআঃ]-এর বের হওয়া পর্যন্ত [মসজিদের] খুঁটির নিকট গিয়ে দাঁড়াতেন এবং এ অবস্থায় মাগিরবের পূর্বে দু রাকআত সলাত আদায় করিতেন। অথচ মাগরিবের আযান ও ইকামাতের মধ্যে কিছু [সময়] থাকত না। উসমান […]
ঐ দু রাকআতের পরিচয় যা রসূলুল্লাহ (সাঃ) আসরের পর আদায় করিতেন।
৪৭৭. কুরাইব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ ইবনি আব্বাস, মিসওয়ার ইবনি মাখরামা এবং আবদুর রহমান ইবনি আযহার [রাদি.] তাঁকে আয়িশাহ্ [রাদি.]-এর নিকট পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সকলের তরফ হইতে সালাম পৌঁছিয়ে আসরের পরের দুরাকআত সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিবে। তাঁকে একথাও বলবে যে, আমরা খবর পেয়েছি যে, আপনি সে দুরাকআত […]
যে সমস্ত সময়ে সলাত আদায় নিষিদ্ধ।
৪৭৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, কয়েকজন আস্থাভাজন ব্যক্তি-আমার নিকট যাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন উমার [রাদি.]-আমাকে বলেছেন যে, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] ফাজরের পর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে না উঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। [বোখারী পর্ব ৯ : /৩০ হাঃ […]
কিরাআত সম্পর্কিত।
৪৭১. আবদুল্লাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ পড়তেন। [বোখারী পর্ব ৬৫ : /৫৪ হাঃ ৪৮৭০, মুসলিম ৬/৫০ হাঃ ৮২৩] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস ৪৭২. ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ [রাদি.]-এর কতিপয় সাথী আবু দ্দারদা [রাদি.]-এর কাছে আগমন […]
কুরআন তারতিল সহ [ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে] পাঠ করা এবং হায্যা থেকে বিরত থাকা, হায্যা হচ্ছে তাড়াহুড়া করে পড়া এবং এক রাকআতে একাধিক সূরাহ পড়া বৈধ।
৪৭০. আবু ওয়াইল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনি মাসউদ [রাদি.]-এর নিকট এসে বলিল, গতরাতে আমি মুফাস্সাল সূরাগুলো এক রাকআতেই তিলাওয়াত করেছি। তিনি বলিলেন, তাহলে নিশ্চয়ই কবিতার ন্যায় দ্রুত পড়েছ। নাবী [সাঃআঃ] পরস্পর সমতুল্য যে সব সূরা মিলিয়ে পড়তেন, সেগুলো সম্পর্কে আমি জানি। এ বলে তিনি মুফাস্সাল […]
কুরআন সাত রকম পঠনে নাযিল হয়েছে এবং এর অর্থের বর্ণনা।
৪৬৮. উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনি হাকীম [রাদি.]-কে রসূল [সাঃআঃ]-এর জীবদ্দশায় সূরাহ্ ফুরক্বান তিলাওয়াত করিতে শুনিয়াছি এবং গভীর মনোযোগ সহকারে আমি তাহাঁর কিরাআত শুনিয়াছি। তিনি বিভিন্নভাবে কিরাআত পাঠ করিয়াছেন; অথচ রসূল [সাঃআঃ] আমাকে এভাবে শিক্ষা দেননি। এ কারণে সলাতের মাঝে আমি তার ওপর ঝাঁপিয়ে […]