৪৬৮. উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনি হাকীম [রাদি.]-কে রসূল [সাঃআঃ]-এর জীবদ্দশায় সূরাহ্ ফুরক্বান তিলাওয়াত করিতে শুনিয়াছি এবং গভীর মনোযোগ সহকারে আমি তাহাঁর কিরাআত শুনিয়াছি। তিনি বিভিন্নভাবে কিরাআত পাঠ করিয়াছেন; অথচ রসূল [সাঃআঃ] আমাকে এভাবে শিক্ষা দেননি। এ কারণে সলাতের মাঝে আমি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্যত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু বড় কষ্টে নিজেকে সামলে নিলাম। অতঃপর সে সালাম ফিরালে আমি চাদর দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, তোমাকে এ সূরাহ্ যেভাবে পাঠ করিতে শুনলাম, এভাবে তোমাকে কে শিক্ষা দিয়েছে? সে বলিল, রসূল [সাঃআঃ]-ই আমাকে এভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি বললাম, তুমি মিথ্যা বলছ। কারণ, তুমি যে পদ্ধতিতে পাঠ করেছ, এর থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে রসূল [সাঃআঃ] আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। এরপর আমি তাকে জোর করে টেনে রসূল [সাঃআঃ]-এর কাছে নিয়ে গেলাম এবং বললাম, আপনি আমাকে সূরাহ্ ফুরকান যে পদ্ধতিতে পাঠ করিতে শিখিয়েছেন এ লোককে আমি এর থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে তা পাঠ করিতে শুনিয়াছি। এ কথা শুনে রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, তাকে ছেড়ে দাও। হিশাম, তুমি পাঠ করে শোনাও। অতঃপর সে সেভাবেই পাঠ করে শোনাল, যেভাবে আমি তাকে পাঠ করিতে শুনিয়াছি। তখন আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, এভাবেই নাযিল করা হয়েছে। এরপর বলিলেন, হে উমার! তুমিও পড়। সুতরাং আমাকে তিনি যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, সেভাবেই আমি পাঠ করলাম। এবারও রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, এভাবেও কুরআন নাযিল করা হয়েছে। এ কুরআন সাত উপ [আঞ্চলিক] ভাষায় নাযিল করা হয়েছে। সুতরাং তোমাদের জন্য যা সহজতর, সে পদ্ধতিতেই তোমরা পাঠ কর।
[বোখারী পর্ব ৪৪ : /৪ হাঃ ৪৯৯২, মুসলিম ৬/৪৮ হাঃ ৮১৮] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪৬৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন, জিব্রীল [আ.] আমাকে এক আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন পাঠ করে শুনিয়েছেন। কিন্তু আমি সব সময় তাহাঁর নিকট বেশি ভাষায় পাঠ শুনতে চাইতাম। শেষতক তা সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় সমাপ্ত হয়।
[বোখারী পর্ব ৫৯ : /৬ হাঃ ৩২১৯, মুসলিম ৬/৪৮ হাঃ ৮১৯] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস