যুদ্ধ করিতে ইচ্ছে করার পূর্বে সৈন্যদের নিকট হইতে সেনাপতির বাইআত গ্রহণ মুস্তাহাব এবং বৃক্ষের নিচে বাইআতে রিযওয়ানের বর্ণনা।

১২১৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হুদাইবিয়াহ্‌র যুদ্ধের দিন আমাদেরকে বলেছেন, পৃথিবীবাসীদের মধ্যে তোমরাই সর্বোত্তম। সেদিন আমরা ছিলাম চৌদ্দশ। আজ আমি যদি দেখতাম, তাহলে আমি তোমাদেরকে সে গাছের জায়গাটি দেখিয়ে দিতাম। [বোখারী পর্ব ৬৪ অধ্যায় ৩৬ হাদীস নং ৪১৫৪; মুসলিম ৩৩/১৮, হাঃ ১৮৫৬] ১২১৪. মুসাইয়্যাব […]

ফিত্না প্রকাশ পাওয়ার সময় [মুসলিমদের] জামাআতবদ্ধ থাকার অপরিহার্যতা এবং কুফুরীর প্রতি আহ্বান থেকে সতর্কীকরণ।

১২১১. হুযাইসলামিক ফাউন্ডেশনহ ইবনি ইয়ামান [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ লোকজন নাবী [সাঃআঃ]-কে কল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিতেন আর আমি তাঁকে অকল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম; এই ভয়ে যেন আমি ঐ সবের মধ্যে পড়ে না যাই। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ]! আমরা জাহিলীয়্যাতে অকল্যাণকর অবস্থায় জীবন যাপন করতাম অতঃপর আল্লাহ আমাদের এ কল্যাণ […]

কর্তৃপক্ষের অত্যাচার ও অন্যায়ভাবে অন্যদেরকে প্রাধান্য দানের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ।

১২১০. উসায়দ ইবনি হুযায়র [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ একজন আনসারী বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ], আপনি কি আমাকে অমুকের ন্যায় দায়িত্বে নিয়োজিত করবেন না? তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা আমার ওফাতের পর অপরকে অগ্রাধিকার দেওয়া দেখিতে পাবে, তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করিবে অবশেষে আমার সাথে সাক্ষাৎ করিবে এবং তোমাদের সাথে সাক্ষাতের স্থান হল […]

পর্যায়ক্রমে খালীফাদের আনুগত্য করা বা মান্য করার প্রতি নির্দেশ।

১২০৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, বানী ইসরাঈলের নাবীগণ তাঁদের উম্মাতকে শাসন করিতেন। যখন কোন একজন নাবী মারা যেতেন, তখন অন্য একজন নাবী তাহাঁর স্থলাভিসিক্ত হইতেন। আর আমার পরে কোন নাবী নেই। তবে অনেক খলীফাহ্ হইবে। সাহাবীগণ আরয করিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আপনি আমাদেরকে কী নির্দেশ […]

পাপকর্ম ছাড়া আমীরের আনুগত্য করা ওয়াজিব ও পাপকর্মে আনুগত্য হারাম।

১২০৩. ইবনি আব্বাস হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন যে, [আরবী] আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে আবদুল্লাহ ইবনি হুযাফাহ ইবনি ক্বায়স ইবনি আদী সম্পর্কে যখন তাঁকে নাবী [সাঃআঃ] একটি সৈন্য দলের দলনায়ক করে প্রেরণ করেছিলেন। [বোখারী পর্ব ৬৫ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৪৫৮৪, মুসলিম ৩৩/৮, হাঃ ১৮৩৪] ১২০৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্ […]

কর্মচারীর হাদিয়া (উপঢৌকন / উপহার) গ্রহণ হারাম।

১২০২. আবু হুমায়দ সাঈদী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে রাজস্ব আদায়কারী নিযুক্ত করে পাঠালেন। সে কাজ শেষ করে তাহাঁর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ]! এটা আপনার জন্য আর এ জিনিসটি আমাকে হাদিয়া দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ তুমি তোমার মা-বাবার ঘরে বসে রইলে […]

গুলুল বা বণ্টনের পূর্বে গানীমাতের মাল থেকে চুরি করা কঠোরভাবে হারাম।

১২০১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] আমাদের মাঝে দাঁড়ান এবং গনীমতের মাল আত্মসাৎ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। আর তিনি তার মারাত্মক অপরাধ ও তার ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলিলেন, আমি তোমাদের কাউকে যেন এ অবস্থায় ক্বিয়ামাতের দিন না পাই যে, তাহাঁর কাঁধে বকরী বয়ে বেড়াচ্ছে আর তা […]

ন্যায়বিচারক ইমামের মর্যাদা ও স্বেচ্ছাচারী শাসকের অপকারিতা ও প্রজাদের প্রতি নম্রতার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং তাহাদেরকে [প্রজাদেরকে] কষ্টে ফেলা নিষিদ্ধ।

১১৯৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমার[রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হইবে। যেমন- জনগণের শাসক তাহাদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাহাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হইবে। একজন পুরুষ তার পরিবার পরিজনদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাহাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হইবে। স্ত্রী স্বামীর ঘরের এবং তার সন্তানের দায়িত্বশীল, […]

নেতৃত্ব চাওয়া ও তার প্রতি লালায়িত হওয়া নিষিদ্ধ।

১১৯৭. আবদুর রহমান ইবনি সামুরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবদুর রহমান ইবনি সামুরাহ! তুমি নেতৃত্ব চেয়ো না। কেননা, চাওয়ার পর যদি নেতৃত্ব পাও তবে এর দিকে তোমাকে সোপর্দ করে দেয়া হইবে। আর যদি না চেয়ে তা পাও তবে তোমাকে এর জন্য সাহায্য করা হইবে। [বোখারী পর্ব ৮৩ […]

কাউকে খালীফা নিযুক্ত করা বা তা বাদ দেয়া।

১১৯৬. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, উমার [রাদি.]-কে বলা হল, আপনি কি [আপনার পরবর্তী] খলীফা মনোনীত করে যাবেন না? তিনি বললেনঃ যদি আমি খলীফা মনোনীত করি, তাহলে আমার চেয়ে যিনি শ্রেষ্ঠ ছিলেন তিনি খলীফা মনোনীত করে গিয়েছিলেন, অর্থাৎ আবু বকর [রাদি.]। আর যদি মনোনীত না করি, তাহলে […]