একজন মুসলমান কিভাবে উত্তম চরিত্র ও আখলাকের মাধ্যমে জেনেশুনে দ্বীনের উপর আমল করে জীবন-যাপন করবে, সে ব্যাপারে বর্ণিত পায় সব গুরুত্বপুর্ণ হাদীসসমূহের একটি যুগোপযোগী ও অতি মূল্যবা সংকলন হল, ইমাম নববী কৃত ‘রিয়াযুস সালিহীন’।
এই কিতাবটি সর্বসাধারনের জন্য সমানভাবে উপকারী। এই কিতাবের প্রায় হাদীসগুলি তিনি নিয়েছেন প্রসিদ্ধ ছয় গ্রন্থ সহীহ আল-বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসায়ী, জামে তিরমিযী ও সুনানে উবনে মাযাহ থেকে। এছাড়া মুত্তয়াত্তা-ইমামা মালিক, মুসনাদ আহমদ ও মুসতাদরাকে হাকেম ইত্যাদি গ্রন্থ থেকেও হাদীস নিয়েছেন।
আমাদের দেশে প্রায় সব ঘরেই ‘মাকছুদুর মোমেনীন’ নামে একটি বই সংগ্রহীত রাখতে দেখা যায়। এমনকি অনেক মুসলিম ব্যক্তির ইসলামী জ্ঞান শুধুমাত্র ‘মাকছুদুল মোমেনীন’ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তারা মনে করে, ইসলাম হল তাই যা উক্ত বইয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। অথচ বাস্তবতা তার বিপরীত। কারণ সেই বইয়ে যদিও কিছু সহীহ কথা-বার্তা আছে; কিন্তু তাতে যঈফ ও মওযু তথা জাল হাদীসের মাগম অনেক বেশি। তাই আমরা মনে করি, উক্ত বইসহ আরো যে সকল বই যঈফ, মুনকার ও মওযু হাদীস এবং ভিত্তিহীন কিস্সা-কাহিনী দিয়ে ভর্তি সে সকল বই পরিত্যাগ করে তার পরিবর্তে ‘রিয়াযুস সালিহীন’ এর একটি কপি সংগ্রহে রাখা এবং পরিবারের সবাইকে তা শিক্ষা দেয়া অনেক শ্রেয় হবে। এমনিতেই এই বইটি প্রত্যেক মুসলিম পরিবারের অলংকার হওয়ার দাবিদার।
Leave A Comment? Cancel Reply
You must be logged in to post a comment.