৯৫১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সাহাবায়ে কেরামের একটি দল একটি জানাযার পাশ দিয়ে গেলেন। তাঁরা মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করলেন। নবী করীম (সা) বললেনঃ “ওয়াজিব হয়ে গেছে।” তারপর এ দলটি আরেকটি জানাযার পাশ দিয়ে গেলেন। তাঁরা মৃত ব্যক্তির দুর্নাম করলে নবী করীম (সা) বললেনঃ “ওয়াজিব হয়ে গেছে।” হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) বললেনঃ “কি ওয়াজিব হয়ে গেছে?” তিনি বললেন, এই যে মৃতের তোমরা প্রশংসা করলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। আর যে মৃতের তোমরা দুর্নাম করলে তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেছে। তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী। (বুখারী ও মুসলিম)
৯৫২. হযরত আবুল আসওয়াদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মদীনায় এলে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর নিকট বসলাম। সেখান দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হলো। মৃত ব্যক্তিটির প্রশংসা করা হলো। হযরত উমার (রা) বললেনঃ ‘ওয়াজিব হয়ে গেছে’। এরপর আর একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হল। সেই মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করা হলে হযরত উমর (রা) বললেনঃ ‘ওয়াজিব হয়ে গেছে।’ তারপর তৃতীয় একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হলো। সেই (তৃতীয়) মৃত ব্যক্তিটির দুর্নাম করা হলো। হযরত উমর (রা) বললেনঃ ‘ওয়াজিব হয়ে গেছে।’ আবুল আসওয়াদ (রা) বলেন, আমি বললাম, “হে আমীরুল মুমেনীন। কি ওয়াজিব হয়ে গেছে?” তিনি বললেনঃ নবী করীম (সা) যেমনটি বলেছিলেন আমিও তোমাদের তেমনটিই বলেছিঃ ‘যে কোন মুসলমানের সদগুণাবলীর চারজন সাক্ষী দেবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন?” আমি বললামঃ যদি তিনজন সাক্ষী দেয়? জবাব দিলেনঃ তিনজনে সাক্ষ্য দিলেও। আমরা বললামঃ ‘যদি দু’জনে সাক্ষ্য দেয়। ‘জবাব দিলেনঃ দু’জন সাক্ষ্য দিলেও’ এরপর আমরা আর একজনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করিনি। (বুখারী )