২৯. মু’আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেনঃ
আমি নিবেদন করিঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কাজ বলুন যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।
তিনি বললেনঃ তুমি এক বৃহৎ বিষয়ে প্রশ্ন করেছ। এটা তার জন্য খুবই সহজ আল্লাহ্ যার জন্য সহজ করে দেন। তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করো না, নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত দাও, রমযানে রোযা রাখ এবং (কা’বা) ঘরে হজ্জ কর।
তারপর তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাদের কল্যাণের দরজা দেখাব না? রোযা হচ্ছে ঢাল, সাদকাহ্ গোনাহকে নিঃশেষ করে দেয় যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়; আর কোন ব্যক্তির গভীর রাতের নামায।
তারপর তিনি পড়েনঃ تتجافي جنوبهم عن المضاجع হতে يعلمون পর্যন্ত। যার অর্থ হলোঃ তারা শয্যা পরিত্যাগ করে তাদের প্রতিপালককে ডাকে আশায় ও আশঙ্কায় এবং তাদেরকে যে রিযিক দান করেছি তা হতে ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্যে নয়ন প্রীতিকর কি লুকায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ।” [সূরা আস্-সাজদাহ্: ১৬-১৭]
তিনি আবার বলেনঃ আমি তোমাদের কর্মের মূল এবং তার স্তম্ভ ও তার সর্বোচ্চ চূড়া বলবো কি?
আমি নিবেদন করিঃ হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন।
তিনি বললেনঃ কর্মের মূল হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে নামায এবং তার সর্বোচ্চ চূড়া হচ্ছে জিহাদ।
তারপর তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাকে এসব কিছু আয়ত্তে রাখার জিনিস বলবো না?
আমি নিবেদন করিঃ হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন।
তিনি নিজের জিভ ধরে বললেনঃ এটাকে সংযত কর।
আমি জিজ্ঞেস করিঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা যা বলি তার হিসাব হবে কি?
তিনি বললেনঃ তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক, হে মু’আয! জিভের উৎপন্ন ফসল ব্যতীত আর কিছু এমন আছে কি যা মানুষকে মুখ থুবড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে?
[তিরমিযী এবং তিনি বলেছেন: এটা হাসান (সহীহ্) হাদীস।]