সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা এবং হাসিমুখ থাকা, স্বজনের হাতে ও আপন ছেলেকে স্নেহ ভরে চুমু খাওয়া, সফর থেকে ফিরে আসা ব্যক্তির সাথে মৃ’আনাকা করা তবে ঝুঁকা মাকরূহ
৮৮৫. আবুল খাত্তাব কাতাদা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূল (সা)-এর সাহাবীগণের মধ্যে কি মূসাফাহার প্রচলন ছিল? তিনি বলেন, হ্যাঁ।
ইমাম বুখারী হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
৮৮৬. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ামনবাসীরা এলে রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ ইয়ামনবাসীরা তোমাদের কাছে এসেছে এবং মুসাফাহা সহকারে তারাই প্রথমে এসেছে।
ইয়াম আবু দাঊদ সহীহ সনদ সহকারে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
৮৮৭. বারাআ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ দু’জন মুসলমান পরস্পর সাক্ষাতকালে মুসাফাহা করলে তারা পৃথক হবার পূর্বেই তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।
ইমাম আবু দাঊদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
৮৮৮. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কেউ যখন তার ভাই বা বন্ধুর সাথে সাক্ষাত করে, সে কি তার প্রতি মাথা নোয়াবে? তিনি বলেনঃ না। সে ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, সে কি তাকে জড়িয়ে ধরবে চুমা খাবে? তিনি বলেনঃ না। সে জিজ্ঞেস করল, সে কি তার হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে মুসাফাহা করবে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ।
ইমাম তিরমিযী হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি একে হাসান হাদীস বলেছেন।
৮৮৯. সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ইহূদী তার সাথীকে বললঃ চলো আমরা এই নবীর কাছে যাই। কাজেই তারা দু’জন রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে এল এবং তাঁকে “তিস’আতিম বাইয়্যেনাত”(নয়টি সুস্পষ্ট নিদর্শন) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। রাবী হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন যে, অতঃপর তারা দু’জন রাসূলুল্লাহ (সা)-এর হাতে ও পায়ে চুমা দিল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি নিঃসন্দেহে আপনি নবী। ইমাম তিরমিযী প্রমুখ এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন সহীহ সনদ সহকারে।
৮৯০. ইবনে উমার (রা) থেকে ঘটনা বর্ণিত। তাতে তিনি বলেছেন, তারপর আমরা নবী (সা)-এর নিকটবর্তী হলাম এবং তাঁর হাতে চুমো খেলাম।
ইমাম আবু দাঊদ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
৮৯১. আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়িদ ইবনে হারিসা (রা) মদিনায় এলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) তখন আমার ঘরে অবস্থান করছিলেন। যায়িদ (মুলাকাত করার জন্য) তাঁর কাছে এলেন এবং দরজায় টোকা দিলেন। নবী (সা) নিজের কাপড় টানতে টানতে উঠে গিয়ে তার সাথে কোলাকুলি করলেন এবং তাকে চুমো খেলেন।
ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে হাসান হাদীস বলেছেন।
৮৯২. আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে বলেছেনঃ “কোনো ভাল কাজকে নগণ্য মনে করো না, যদিও তা হয় তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাত করা।”
ইমাম মুসলিম হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
৮৯৩. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) হাসান ইবনে আলীকে চুমো খেলেন। (তা দেখে) আকরা ইবনে হাবিস বললেন, আমার তো দশটি সন্তান আছে, কিন্তু তাদের একজনকেও চুমো খাইনি। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ যে অন্যের প্রতি স্নেহ-মমতা করে না, তার প্রতিও স্নেহ-মমতা করা হয় না।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।