সফর সঙ্গী অনুসন্ধান করা এবং এমন এক ব্যক্তিকে আমীর বানানো যাকে সবাই আনুগত্য করবে
৯৫৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ একাকী সফরের মধ্যে কি কি ক্ষতি আছে, সে সম্পর্কে আমি যা জানি যদি লোকেরা তা জানত, তাহলে কোন সওয়ার (ভ্রমণকারী) রাতে একাকী সফর করতো না। (বুখারী)
৯৬০. হযরত আমর ইবনে শু’আইব (রা) তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি তাঁর (আমরের) দাদা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ একজন সওয়ার হচ্ছে একটি শয়তান (শয়তানের মতো), দু’জন সওয়ার হচ্ছে দু’টি শয়তান আর তিন জন সওয়ার হচ্ছে কাফিলা। (আবু দাঊদ, তিরমিযী ও নাসায়ী)
নাসায়ী হাদীসটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান।
৯৬১. হযরত আবু সাঈদ ও আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যখন সফরে বের হবে তখন তাদের মধ্য থেকে একজনকে আমীর নিযুক্ত করবে। (আবু দাঊদ) হাদীসটি হাসান।
৯৬২. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেছেনঃ সর্বোত্তম সাথী হচ্ছে চারজন। সর্বোত্তম ছোট সেনাদল হচ্ছে চারশ’ জনের সেনাদল। আর সর্বোত্তম বড় সেনাবাহিনী হচ্ছে চার হাজার জনের সেনাদল। আর বারো হাজারের সেনাবাহিনী কখনো তার স্বল্পতার কারণে পরাজিত হতে পারে না। (আবু দাঊদ ও তিরমিযী) ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান।