ইনশাআল্লাহ বলা।

১০৭২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দাউদ [আ.]-এর পুত্র সুলায়মান [আ.] একদা বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আজ রাতে আমি আমার একশত স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হব এবং তাহাদের প্রত্যেকেই একটি করে পুত্র সন্তান প্রসব করিবে, যারা আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করিবে। এ কথা শুনে একজন ফেরেশতা বলেছিলেন, আপনি ইন্‌শাআল্লাহ বলুন; কিন্তু তিনি এ কথা ভুলক্রমে বলেননি। এরপর তিনি তার স্ত্রীগণের সঙ্গে মিলিত হলেন; কিন্তু তাহাদের কেউ কোন সন্তান প্রসব করিল না। শুধুমাত্র একজন স্ত্রী একটি অপূর্ণাঙ্গ সন্তান প্রসব করিল। নাবী [সাঃআঃ] বলেন, যদি সুলায়মান [আ.] ইন্‌শাআল্লাহ বলিতেন, তাহলে আল্লাহ্ তাহাঁর আশা পূর্ণ করিতেন। আর সেটাই ছিল তাহাঁর প্রয়োজন মেটানোর জন্য উত্তম।

[বোখারী পর্ব ৬৭ অধ্যায় ১২০ হাদীস নং ৫২৪২; মুসলিম ২৭/৫, হাঃ ১৬৫৪]


১০৭৩. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, সুলায়মান ইবনি দাউদ [আ.] বলেছিলেন, আজ রাতে আমি আমার সত্তর জন স্ত্রীর নিকট যাব। প্রত্যেক স্ত্রী একজন করে অশ্বারোহী যোদ্ধা গর্ভধারণ করিবে। এরা আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করিবে। তখন তাহাঁর সাথী বলিলেন, ইন্‌শা আল্লাহ্। কিন্তু তিনি মুখে তা বলিলেন না। অতঃপর একজন স্ত্রী ছাড়া কেউ গর্ভধারণ করিলেন না। আর তিনিও এমন এক [পুত্র] সন্তান প্রসব করিলেন যার এক অঙ্গ ছিল না। নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তিনি যদি ইন্‌শা আল্লাহ্ মুখে বলিতেন, তাহলে তারা আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করতো।

[বোখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৪০ হাদীস নং ৩৪২৪; মুসলিম ২৭/৫, হাঃ ১৬৫৪]

Was this article helpful?

Related Articles