রমযানের রোযা ফরয এবং রোযার গুরুত্ব ও তার আনুসঙ্গিক বিষয় সমূহ

রমযানের রোযা ফরয এবং রোযার গুরুত্ব ও তার আনুসঙ্গিক বিষয় সমূহ আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর।” এখানথেকে নিন্মোক্ত আয়াত পর্যন্ত “এই রমযান মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা সমগ্র মানব জাতির জন্য জীবন-যাপনের বিধান এবং তা […]

যাকাত অত্যাবশ্যক হওয়ার তাকিদ, এর গুরুত্ব এবং এর সংশিস্নষ্ট বিষয়

যাকাত ফরয হওয়ার তাকিদ ও ফযীলত এবং এই সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াবলী আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ “আর নামায কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর।” (সূরা বাকারাঃ ৪৩) তিনি আরো বলেছেনঃ “অথচ তাদেরকে কেবল এই হুকুম দেয়া হয়েছিল যে, তারা আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে যাতে তা একমুখী হয়ে আল্লাহর জন্য নির্ধারিত হয়ে যায়। […]

মিস্ওয়াক করা ও প্রকৃতিগত স্বভাবের গুরুত্ব

১১৯৭. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আমি যদি আমার উম্মতের অথবা (বলেছেন) লোকদের কষ্ট হবার আশংকা না করতাম, তবে আমি তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সাথে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী ও মুসলিম) ১১৯৮. আবু হুযাইফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) যখন ঘুম থেকে […]

লাইলাতুল কাদ্‌রে কেয়াম করার গুরুত্ব ও সর্বাধিক আশাপ্রদ রাতের বর্ণনা

আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ “নিঃসন্দেহে আমি কুরআন নাযিল করেছি কদরের রাতে; আর মহিমাম্বিত রজনী সম্বন্ধে তুমি কি জান? মহিমাম্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। ঐ রাত্রিতে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সেই রা্ত্রি ঊষার অভ্যুদয় পর্যন্ত।” (সূরা কাদ্‌র) তিনি আরো বলেছেনঃ “অবশ্যই আমি কুরআন […]

রমযানের কেয়াম-তারাবীহ্‌র নামায মুস্তাহাব

রমযানে তারাবীহর নামায উত্তম ১১৮৮. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমযানে কিয়াম করে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম) ১১৮৯. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) রমযানে কিয়াম করার […]

রাত জেগে ইবাদাতে লিপ্ত থাকার ফযীলত

মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন, “আর রাতের একটি অংশে তাহাজ্জুদের নামায আদায় কর। তা তোমার জন্য হবে অতিরিক্ত বস্তু। আশা করা যায়, তোমার প্রভু তোমাকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থান) স্থান দিবেন (সূরা বনী ইস্রাঈলঃ ৭৯) মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন, তাদের পিঠ বিছানা হতে পৃথক হয়ে থাকে।” (সূরা আস্-সাজ্দাঃ ১৬) তিনি আরো […]

আল্লাহ্‌র কোন সুস্পষ্ট অনুগ্রহ লাভের পর এবং কোন সুস্পষ্ট বিপদ কেটে যাবার পর শুকরিয়ার আদায়ে সেজ্‌দা করা মুস্তাহাব

১১৬০. হযরত সা’দ ইবনে আবু ওয়াককাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে বের হলাম। যখন আমরা আযওয়ারার নিকটবর্তী হলাম, তখন তিনি নেমে পড়লেন এবং হাত তুলে কিছুক্ষণ দু’আ করতে থাকলেন তারপর সিজদাবনত হলেন। দীর্ঘক্ষণ সিজদায় থাকলেন। তারপর উঠলেন এবং হাত তুলে কিছূক্ষণ দু’আ […]

জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব

জুমআর জন্য গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, এ দিনে দুআ করা, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর দরূদ পড়া ও এ দিনের কোন এক সময়ে দুআ কবুল হওয়ার বিবরণ এবং জুমআর পর বেশী বেশী মহান আল্লাহর যিক্‌র করা মুস্তাহাব আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ “অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে […]

অযু করার পর দুরাকাত নামায আদায় করা মুস্তাহাব

১১৪৭. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) হযরত বিলালকে বলেছেনঃ হে বিলাল! তুমি ইসলামের অবস্থায় বেশি আশাপ্রদ যে আমলটি করেছো সে সম্পর্কে আমাকে বল। কারণ জান্নাতে আমার আগে আগে আমি তোমার পাদুকার শব্দ শুনেছি। হযরত বিলাল (রা) বলেনঃ আমার কাছে এর চাইতে বেশি আশাপ্রদ আর কোন আমল নেই […]

তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায আদায করতে উদ্বুদ্ধ করা এবং মসজিদে গিয়ে দুরাকাত না পড়ে বসে বসে পড়া মাকরূহ, দুরাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদের নিয়্যতে পড়া হোক বা ফরয, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বা গায়ের মুয়াক্কাদার নিয়তে পড়া হোক

১১৪৫. হযরত আবু কাতাদাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন যেন দু’ রাকা’আত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) নামায না পড়ে না বসে। (মুসলিম) ১১৪৬. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম (সা)-এর নিকট এলাম। তখন তিনি মসজিদে ছিলেন। তিনি বললেনঃ […]