শোকরগুযার ধনীর মাহাত্ম, যিনি ধন অর্থ ও ব্যয করেন আল্লাহর উদ্দেশ্য এবং তাঁর নির্দেশ মতে।
[Note: এ অধ্যায়ের কুরআনের আয়াত গুলো পরে আপডেট করা হবে]
৫৭১. আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ দু’জন ছাড়া আর কারো সাথে ঈর্ষা করা যায় না। (১) যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন এবং তাকে সত্য পথে তা ব্যয় করারও ক্ষমতা দান করেছেন। (২) যাকে আল্লাহ জ্ঞান দান করেছেন, যা দিয়ে সে (সঠিক) ফায়সালা করে এবং যা অন্যকে শিক্ষা দেয়।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
৫৭২. ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ দু’জন লোক ছাড়া আর কারো প্রতি ঈর্ষা করা যায় না। (১) যাকে আল্লাহ কুরআনের জ্ঞান দান করেছেন, সে রাত দিন সর্বদা তার চর্চায় রত থাকে। (২) যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন এবং রাত ও দিনের প্রতি মুহূর্তে সে তা (আল্লাহর পথে) খরচ করতে থাকে। (বুখারী, মুসলিম)
৫৭৩. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিঃসম্বল মুহাজিরগণ রাসূলুল্লাহ (সা) -এর কাছে এসে বলেন, সম্পদশালীগণ মর্যাদা ও চিরস্থায়ী নিয়ামতের অধিকারী হয়ে গেল। তিনি বলেনঃ তা কি করে? তারা বলেন, তারা নামায পড়ে যেমন আমরা নামায পড়ি, তারা রোযা রাখে যেমন আমরা রোযা রাখি। তারা দান সদকা করে, অথচ আমরা ( গরীব হওয়ার দরুন) দান-সদকা করতে পারি না। তারা গোলাম আযাদ করে, কিন্তু আমরা গোলাম আযাদ করতে পারি না। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ আমি কি তোমাদের এমন বিষয় জানাব না, যার সাহায্যে তোমরা তাদের মর্যাদা লাভ করতে পারবে যারা তোমাদের চাইতে অগ্রবর্তী হয়ে গেছে এবং তোমাদের পরবর্তীদেরও অতিক্রম করে যেতে সক্ষম হবে, আর তোমাদের চাইতে উত্তম কেউ হবে না, একমাত্র তাদের ছাড়া যারা তোমাদের ন্যায় আমল করবে? তারা বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পরে ‘সুবহানাল্লাহ’ ‘আল্লাহু আকবার’ ও ‘আলহামদু লিল্লাহ’ তেত্রিশবার (করে) পড়বে। পরে আবার ঐ দরিদ্র মুহাজিরগণ রাসূলুল্লাহ (সা) -এর নিকট ফিরে এসে বলেন, আমরা যে আমল করতাম, আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা তা শুনে ফেলেছে। এক্ষণে তারাও অনুরূপ (আমল) করেছে। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ এটা হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি দান করেন।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।