বিশেষ করে ফজর ও এশার জামাআতে উপস্থিত হওয়া
১০৭২. হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এশার নামায জামাআতের সাথে পড়ল সে যেন অর্ধরাত অবধি (জাগ্রত থেকে নফল) নামায পড়ল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাযও জামাআতের সাথে পড়ল সে যেন সারা রাত (জাগ্রত থেকে নফল) নামায পড়ল। (মুসলিম)
তিরমিযীর হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা) থেকে বর্ণিত অন্য এক বর্ণনায় আছে। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এশার নামায জামাআতে উপস্থিত হল সে অর্ধরাত অবধি নামায পড়ার সওয়াব পেল আর যে ব্যক্তি এশার ও ফজরের জামাআতের সাথে পড়ল সে সারারাত নামায পড়ার সাওয়াব পেল।
১০৭৩. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তারা যদি এশা ও ফজরের নামাযের মধ্যে কি (ফযিলত ও মর্যাদা) আছে তা জানতে পারত তাহলে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও এ দু’টি নামাযের (জামাআতে) শামিল হত। (বুখারী ও মুসলিম)
১০৭৪. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ এশার ও ফজরের নামাযের মত আর কোন নামায মুনাফিকদের নিকট বেশি ভারী বোঝা বলে মনে হয় না। তবে যদি তারা জানত এ দুই নামাযের মধ্যে কি আছে তাহলে তারা হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও এ দুই নামাযের জামাআতে শামিল হত। (বুখারী ও মুসলিম)