১৭৬০. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, বানী ইসরাঈলের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি ছিল যে, নিরানব্বইটি মানুষ হত্যা করেছিল। অতঃপর সে বের হয়ে একজন পাদরীকে জিজ্ঞেস করিল, আমার তাওবা কবুল হওয়ার আশা আছে কি? পাদরী বলিল, না। তখন সে পাদরীকেও হত্যা করিল। অতঃপর পুনরায় সে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে লাগল। তখন এক ব্যক্তি তাকে বলিল, তুমি অমুক স্থানে চলে যাও। সে রওয়ানা হল এবং পথিমধ্যে তার মৃত্যু এসে গেল। সে তার বক্ষদেশ দ্বারা সে স্থানটির দিকে ঘুরে গেল। মৃত্যুর পর রহমত ও আযাবের ফেরেশতামণ্ডলী তার রূহকে নিয়ে বাদানুবাদে লিপ্ত হলেন। আল্লাহ্ সামনের ভূমিকে আদেশ করিলেন, তুমি মৃত ব্যক্তির নিকটবর্তী হয়ে যাও এবং পশ্চাতে ফেলে আসা স্থানকে [যেখানে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল] আদেশ দিলেন, তুমি দূরে সরে যাও। অতঃপর ফেরেশতাহাদের উভয় দলকে নির্দেশ দিলেন- তোমরা এখান থেকে উভয় দিকের দূরত্ব পরিমাপ কর। পরিমাপ করা হল, দেখা গেল যে, মৃত লোকটি সামনের দিকে এক বিঘত বেশি এগিয়ে আছে। কাজেই তাকে ক্ষমা করা হল।
[বোখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৫৪ হাদীস নং ৩৪৭০; মুসলিম ৪৯ অধ্যায় ৮ হাঃ ২৭৬৬] তাওবা -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৭৬১. সাফওয়ান ইবনি মুহরিয আল-মাযিনী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমি ইবনি উমার [রাদি.]-এর সাথে তাহাঁর হাত ধরে চলছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলিল, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর মুমিন বান্দার একান্তে কথাবার্তা সম্পর্কে আপনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কী বলিতে শুনেছেন? তখন তিনি বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনিয়াছি যে, আল্লাহ তাআলা মুমিন ব্যক্তিকে নিজের কাছে নিয়ে আসবেন এবং তার উপর স্বীয় আবরণ দ্বারা তাকে ঢেকে নিবেন। তারপর বলবেন, অমুক পাপের কথা কি তুমি জান? তখন সে বলবে, হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক! এভাবে তিনি তার কাছ হইতে তার পাপগুলো স্বীকার করিয়ে নিবেন। আর সে মনে করিবে যে, তার ধ্বংস অনিবার্য। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি পৃথিবীতে তোমার পাপ গোপন করে রেখেছিলাম। আর আজ আমি তা মাফ করে দিব”। তারপর তার নেকের আমলনামা তাকে দেয়া হইবে। কিন্তু কাফির ও মুনাফিকদের সম্পর্কে সাক্ষীরা বলবে, এরাই তাহাদের প্রতিপালক সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিল। সাবধান, যালিমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত।
[বোখারী পর্ব ৪৬ অধ্যায় ২ হাদীস নং ২৪৪১; মুসলিম ৪৯ অধ্যায় ৮ হাঃ ২৮৬৮] তাওবা -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস