৫২৬. আবদুল্লাহ্ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর সময় যখন সূর্যগ্রহণ হয় তখন আস্-সালাতু জামিআতুন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। নাবী তখন এক রাকাআতে দুবার রুকূ করেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকাআতেও দুবার রুকূ করেন অতঃপর বসেন আর ততক্ষণে সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে যায়। বর্ণনাকারী বলেন, আয়িশাহ্ [রাদি.] বলেছেন, এ সলাত ব্যতীত এত দীর্ঘ সাজদাহ্ আমি কখনও করিনি।
[বোখারী পর্ব ১৬ : /৮ হাঃ ১০৫১, মুসলিম ১০/৫ হাঃ ৯১০] সূর্যগ্রহণের নামায-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭. আবু মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। তাই তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হইতে দেখবে, তখন দাঁড়িয়ে যাবে এবং সলাত আদায় করিবে।
[বোখারী পর্ব ১৬ : /১ হাঃ ১০৪১, মুসলিম ১০/৫, হাঃ ৯১১] সূর্যগ্রহণের নামায-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হল, তখন নাবী [সাঃআঃ] ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় উঠলেন এবং কিয়ামাত সংঘটিত হবার ভয় করছিলেন। অতঃপর তিনি মাসজিদে আসেন এবং এর পূর্বে আমি তাঁকে যেমন করিতে দেখেছি, তার চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কিয়াম, রুকূ ও সাজদাহ্ সহকারে সলাত আদায় করিলেন। আর তিনি বললেনঃ এগুলো হল নিদর্শন যা আল্লাহ্ পাঠিয়ে থাকেন, তা কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। বরং আল্লাহ্ তাআলা এর মাধ্যমে তাহাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। কাজেই যখন তোমরা এর কিছু দেখিতে পাবে, তখন ভীত বিহ্বল অবস্থায় আল্লাহ্র যিক্র, দুআ এবং ইস্তিগ্ফারের দিকে অগ্রসর হইবে।
[বোখারী পর্ব ১৬ : /১৪ হাঃ ১০৫৯, মুসলিম ১০/৫, হাঃ ৯১২] সূর্যগ্রহণের নামায-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করেন যে, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। তবে তা আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কাজেই তোমরা যখনই গ্রহণ হইতে দেখবে তখনই সলাত আদায় করিবে।
[বোখারী পর্ব ১৬ : /১ হাঃ ১০৪২, মুসলিম ১০/৫ হাঃ ৯১৪] সূর্যগ্রহণের নামায-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৫৩০. মুগীরাহ ইবনি শুবা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর সময় যে দিন [তাহাঁর পুত্র] ইবরাহীম [রাদি.] ইন্তিকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা তখন বলিতে লাগল, ইব্রাহীম [রাদি.] এর মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তখন আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বললেনঃ কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন তা দেখবে, তখন সলাত আদায় করিবে এবং আল্লাহ্র নিকট দুআ করিবে।
[বোখারী পর্ব ১৬ : /১ হাঃ ১০৪৩, মুসলিম ১০/৫, হাঃ ৯১৫] সূর্যগ্রহণের নামায-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস