মহান আল্লাহ বলেনঃ
তোমাকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তেমনি (তুমি দ্বীনের পথে) অবিচল থাকো। (সূরা হূদঃ ১১২)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
যারা (মনে-প্রাণে) ঘোষণা করে যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু (রব) এবং তারা একথার ওপরই অবিচল থাকে, নিঃসন্দেহে তাদের নিকট ফেরেশতা অবতরণ করে বলতে থাকে, (তোমরা) ভয় পেওনা, দুঃশ্চিন্তাও করোনা; বরং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করো যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু আর পরকালেও। সেখানে (জান্নাতে) তোমাদের মন যা কিছুই চাইবে, আকাংখা করবে তা সবই পাবে। এসব সেই আল্লাহর পক্ষ থেকে মেহমানদারী হিসেবে পাবে, যিনি অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (সূরা হা-মীম-আস-সিজদাহঃ ৩০-৩২)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
যারা (মনে-প্রাণে) অঙ্গীকার করে যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু (রব্ব) এবং (সেই সঙ্গে) তারা এর ওপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয়-ভীতি নেই, তারা কোন দুঃশ্চিন্তাও করবে না। তারা দুনিয়ায় যে কাজ করছিল, তার বিনিময়ে জান্নাতী হয়ে চিরকাল সেখানে বাস করবে। (সূরা আহকাফঃ ১৩-১৪)
৮৫. হযরত সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ (রা) বর্ণনা করেনঃ একদিন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ইসলামের ব্যাপারে আমায় এমন কথা বলে দিন, যেন সে বিষয়ে আপনি ছাড়া আর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতে না হয়। তিনি (রসূল) বললেনঃ ‘বলো, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি, তারপর এর ওপর অবিচল হয়ে যাও।’ (মুসলিম)
৮৬. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেনঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘তোমরা (দ্বীন সংক্রান্ত বিষয়ে) ভারসাম্য রক্ষা করো এবং এর ওপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকো। আর জেনে রাখো, তোমাদের কেউ তার আমলের সাহায্যে মুক্তি পাবে না।’ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন; ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনিও কি!’ তিনি বললেন; আমিও পাব না; তবে আল্লাহ যদি আমায় তাঁর রহমত ও অনুগ্রহের মধ্যে শামিল করে নেন। (অর্থ্যাৎ আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ ছাড়া রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও নিজ আমল দ্বারা রেহাই পাবেন না।) (মুসলিম)