নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ফযীলত
১০৬২. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যতক্ষণ নামাযের জন্য প্রতীক্ষা কোন ব্যক্তিকে আটকে রাখে এবং যতক্ষণ নামায ব্যতীত আর কোন বস্তু তাকে ঘরে পরিজনদের নিকট ফিরে যেতে বাধা দেয় না, ততক্ষণ সে নামাযের মধ্যেই থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)
১০৬৩. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তি যখন নামায পড়ার পর নিজের মুসাল্লার ওপর বসে থাকে তখন ফিরিশতাগণ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে, যতক্ষণ তার ওযু ভেঙ্গে না যায়। ফিরিশতাগণ বলতে থাকেঃ “হে আল্লাহ! একে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! এর ওপর রহম করুন।” (বুখারী)
১০৬৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। এক রাতে রাসূলুল্লাহ (সা) এশার নামায মধ্যরাত পর্যন্ত দেরি করে আদায় করলেন। নামাযের পর আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেনঃ “সমস্ত লোক নামায পড়ার পর ঘুমিয়ে পড়েছে আর তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযের অপেক্ষায় আছ ততক্ষণ পর্যন্ত নামাযের মধ্যেই আছ।” (বুখারী)