সলাত আদায়ের পর দুআ পাঠ মুস্তাহাব এবং তার পদ্ধতি।

৩৪৭. ওয়ার্‌রাদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুগীরা ইবনি শুবা [রাদি.] আমাকে দিয়ে মুআবিয়াহ [রাদি.]-কে [এ মর্মে] একখানা পত্র লিখালেন যে, নাবী [সাঃআঃ] প্রত্যেক ফার্‌য সলাতের পর বলিতেনঃ

اَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اللهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

“এক আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাহাঁরই, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাহাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুই উপরই ক্ষমতাশীল। হে আল্লাহ্! আপনি যা প্রদান করিতে চান তা রোধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রোধ করেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আপনার নিকট [সৎকাজ ভিন্ন] কোন সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না।”

[বোখারী পর্ব ১০ : /১৫৫ হাঃ ৮৪৪, মুসলিম ৫/২৬, হাঃ ৫৯৩] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩৪৮. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দরিদ্রলোকেরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, সম্পদশালী ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের দ্বারা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী আবাস লাভ করছেন, তাঁরা আমাদের মত সালাত আদায় করছেন, আমাদের মত সিয়াম পালন করছেন এবং অর্থের দ্বারা হাজ্জ, উমরা, জিহাদ ও সাদাকা করার মর্যাদাও লাভ করছেন। এ শুনে তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলব, যা তোমরা করলে, যারা নেক কাজে তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে, তাদের সমপর্যায়ে পৌঁছতে পারবে। তবে যারা পুনরায় এ ধরনের কাজ করবে তাদের কথা স্বতন্ত্র। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশ বার করে তাসবীহ্ (সুবহানাল্লাহ্), তাহমীদ (আলহামদু ল্লিল্লাহ্) এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ করবে। (এ বিষয়টি নিয়ে) আমাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলো। কেউ বলল, আমরা তেত্রিশ বার তাসবীহ্ পড়ব, তেত্রিশ বার তাহমীদ আর চৌত্রিশ বার তাকবীর পড়ব। অতঃপর আমি তাঁর নিকট ফিরে গেলাম। তিনি বললে, سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَاللهُ أَكْبَرُ বলবে, যাতে সবগুলোই তেত্রিশবার করে হয়ে যায়।

। [বোখারী পর্ব ১০ : /১৫৫ হাঃ ৮৪৩, মুসলিম ৫/২৬, হাঃ ৫৯৫] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles