লজ্জার ফযীলত ও লজ্জা অর্জনে উদ্ধুদ্ধ করা
৬৮১. ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) এক আনসারীর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আনসারী তখন তাঁর ভাইকে লজ্জাশীলতার জন্য উপদেশ দিচ্ছিল (ভর্ৎসনা করছিল)। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ ছাড় তাকে। লজ্জাশীলতা ঈমানের অংগবিশেষ। (বুখারী, মুসলিম)
৬৮২. ইমরান ইবনে হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম এই হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণকর।
৬৮৩. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলু্ল্লাহ (সা) বলেনঃ ঈমানের সত্তরের অধিক অথবা ষাটের অধিক শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তমটি হলঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই) কথাটি এবং সর্বনিম্নটি হল, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া। লজ্জাশীলতাও ঈমানের অন্যতম শাখা। (বুখারী, মুসলিম)
৬৮৪. আবু সাঈদ আল খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) পবিত্র পর্দানশীন কুমারী মেয়েদের চাইতেও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। কোন বিষয় তাঁর দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় হলে তাঁর চেহারা দেখেই আমরা তা (তাঁর অসন্তুষ্টি) আঁচ করে নিতাম।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বিশেষজ্ঞ আলিমগণ লজ্জাশীলতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেনঃ এটি এমন একটি গুণ যা ঘৃণিত ও বর্জনীয় জিনিস পরিহার করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এবং প্রাপকের প্রাপ্য যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে বাধ্য করে। আবুল কাসিম জুনাইদ (র) লজ্জাশীলতার নিম্নোক্ত সংজ্ঞা দিয়েছেনঃ
লজ্জাশীলতা হল, মানুষ প্রথমত আল্লাহর অপরিসীম দয়া, অনুগ্রহ ও ইহসানের প্রতি লক্ষ্য করবে, তারপর নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করবে। এ উভয়বিধ চিন্তার ফলে মানসপটে যে ভাবের উদয় হয়, তাকেই বলা হয় লজ্জাশীলতা।