সূরা বাকারাঃ ২৬৪
সূরা নিসা ১৪২
[Note: এ অধ্যায়ের কুরআনের আয়াত গুলো পরে আপডেট করা হবে]
১৬১৭. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি শিরককারীদের আরোপিত শিরক হতে মুক্ত। যে ব্যক্তি এমন কাজ করল যার মধ্যে আমার সাথে কাউকে শরীক করল, আমি তাকে এবং শিরককে পরিত্যাগ করি। ( মুসিলম)
১৬১৮. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছি, কেয়ামতের দিন প্রথম যে ব্যক্তির বিচার হবে সে একজন শহীদ। তাকে উপস্থিত করা হবে। পার্থিব জগতে তাকে যেসব অনুগ্রহ দেয়া হয়েছিল সেসব তাকে দেখানো হবে এবং সে তা চিনতে পারবে। তাকে বলা হবে, এসব অনুগ্রহকে তুমি কিভাবে কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, হে আল্লাহ! আমি তোমার পথে জেহাদ করেছি এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলেছ; বরং তুমি এজন্য যুদ্ধ করেছ যে লোকে তোমাকে বীর উপাধি দেবে। অবশ্য তা বলাও হয়েছে। এরপর আদেশ দেয়া হবে, তাকে উপুড় করে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে। অপর এক ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করেছিল এবং তা অপরকে শিক্ষা দিয়েছিল আর সে কুরআনও পাঠ করেছিল। তাকে ডেকে নিয়ে যেসব অনুগ্রহ দেয়া হয়েছিল তা দেখানো হবে। সে তা সনাক্ত করবে। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, এসব অনুগ্রহ তুমি কিভাবে কাজে লাগিয়েছ? সে উত্তর দেবে আমি জ্ঞানার্জন করেছি এবং তা অন্যকে শিক্ষা দিয়েছি। আর তোমার সন্তুষ্টির জন্য কুরআন পাঠ করেছি। আল্লাহ বললেন, তুমি মিথ্যা বললে; বরং তুমি এজন্য ইলম অর্জন করেছ, লোকে তোমাকে জ্ঞানী বলবে। আর কুরআন এজন্যই পাঠ করেছ যে, তোমাকে ক্বারী বলা হবে, আর তা বলা হয়েছে। অতঃপর তার ব্যাপারে আদেশ দেয়া হবে, তাকে উপুড় করে হেঁচড়ে টেনে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে। আরেক ব্যক্তিকে আল্লাহ ধন-সম্পদে যথেষ্ট প্রাচুর্য দান করেছিলেন। তাকে দেয়া অনুগ্রহসমূহ তার সামনে উপস্থিত করা হবে এবং সে তা চিনতে পারবে। তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি এ ধন-সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করেছ? সে বলবে হে আল্লাহ! যেসব পথে ব্যয় করাকে তুমি পছন্দ কর, আমি তার প্রতিটি পথেই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি বললে; বরং তুমি এজন্যই অর্থ- সম্পদ খরচ করেছ যে তোমাকে দানশীল বলা হবে। আর তা বলাও হয়েছে। তার সম্পর্কে আদেশ দেয়া হবে, তাকে উপুড় করে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে। (মুসলিম)
১৬১৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। এক দল মানব তাকে বলল, আমরা কখনো কখনো আমাদের বাদশাহের কাছে গিয়ে থাকি। সেখানে যে কর্থাবার্তা বলি, বাইরে এসে তার বিপরীত বলি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সময়ে এরূপ আচরণকে মুনাফেকীর মধ্যে সাব্যস্ত করতাম। (বুখারী)
১৬২০. হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সুফিয়ান (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মানবকে শোনাবার জন্য কাজ করে আল্লাহ তার দোষত্রুটি মানবের গোচরীভূত করবেন। আর যে ব্যক্তি মানুষকে দোখানোর জন্য কাজ করে আল্লাহ তার সকল দোষত্রুটি মানুষকে দেখিয়ে দেবেন। (বুখারী ও মুসলিম)
১৬২১. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যে এমন ইলম অজর্ন করল, যা দ্বারা মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা হয় কিন্তু তা সে পার্থিব সুখ-শান্তি ও সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য অর্জন করল, সে কেয়ামতের দিন বেহেশতের খোশবুও পাবে না। (আবু দাউদ)