রমাযানের রাতের ক্বিয়ামের বা ইবাদাতের প্রতি উৎসাহ প্রদান আর তা হচ্ছে [কিয়ামু রমাযান] তারাবীহ।

৪৩৫, আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি রমাযানের রাতে ঈমানসহ পুণ্যের আশায় রাত জেগে ইবাদাত করে, তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হয়

[বোখারী পর্ব ২৭ : /২৭ হাঃ ৩৭, মুসলিম ৬/২৫, হাঃ ৭৬০] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৪৩৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] কোন একরাতের মধ্যভাগে বের হলেন এবং মাসজিদে গিয়ে সলাত আদায় করিলেন। তাহাঁর সঙ্গে সাহাবীগণও সলাত আদায় করিলেন, সকালে তাঁরা এ নিয়ে আলোচনা করিলেন। ফলে [দ্বিতীয় রাতে] এর চেয়ে অধিক সংখ্যক সহাবী একত্রিত হলেন এবং তাহাঁর সঙ্গে সলাত আদায় করিলেন। পরের দিন সকালেও তাঁরা এ সম্পর্কে আলোচনা করিলেন। ফলে তৃতীয় রাতে মাসজিদে লোকসংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পেল। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বের হলেন এবং সহাবীগণ তাহাঁর সঙ্গে সলাত আদায় করিলেন। চতুর্থ রাতে মাসজিদে মুসুল্লীগণের স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। অবশেষে তিনি ফাজরের সলাতের জন্য বের হলেন এবং ফাজরের সলাত শেষ করে লোকদের দিকে ফিরলেন। অতঃপর আল্লাহ্‌র হামদ ও সানা বর্ণনা করেন। অতঃপর বললেনঃ আম্‌মা বাদ [তারপর বক্তব্য এই যে] এখানে তোমাদের উপস্থিতি আমার নিকট গোপন ছিল না, কিন্তু আমার আশংকা ছিল, তা তোমাদের জন্য ফার্‌য করে দেয়া হয় আর তোমরা তা আদায় করিতে অপারগ হয়ে পড়।

[বোখারী পর্ব ১১ : /২৯ হাঃ ৯২৪, মুসলিম ৬/২৫, হাঃ ৭৬১] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles