১১১৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাথে দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) যুহরের পূর্বে ও দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) যুহরের পরে পড়েছি। (বুখারী ও মুসলিম)
১১১৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) যুহরের (ফজরের) পুর্বের চার রাকা’আত (সুন্নাত) নামায কখনো ছাড়তেন না। (বুখারী)
১১১৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) আমার ঘরে যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাকা’আত (সুন্নাত) নামায পড়তেন, তারপর বাইরে বের হয়ে যেতেন এবং লোকদেরকে নামায পড়াতেন। তারপর তিনি ঘরে প্রবেশ করতেন এবং দু’ রাকা’আত সুন্নাত পড়তেন। আর তিনি লোকদেরকে মাগরিবের নামায পড়াতেন তারপর আমার ঘরে প্রবেশ করতেন এবং দু’ রাকা’আত সুন্নাত পড়তেন। আবার তিনি এভাবে লোকদেরকে এশার নামায পড়াতেন তারপর আমার ঘরে প্রবেশ করতেন। অতঃপর দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) নামায পড়তেন। (মুসলিম)
১১১৭. হযরত উম্মে হাবীবা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলু্ল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাকা’আত ও পরে চার রাকা’আত নামায নিয়মিত পড়বে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন। (আবু দাঊদ ও তিরমিযী) ইমাম তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান।
১১১৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সায়িব (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার পর জোহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাকা’আত নামায পড়তেন এবং বলতেনঃ এটা এমন একটা সময় যখন আসমানের দরজা খোলা হয়। তাই আমি পছন্দ করি এ সময় আমার কোন নেক আমল উপরে যাক। (তিরমিযী)
১১১৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) যখন (কোন কারণে) জোহরের পূর্বের চার রাকা’আত পড়তে পারতেন না, তখন জোহরের ফরযের পরে তা পড়ে নিতেন। (তিরমিযী)