যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র ‘ইবাদাতে কোন কিছুকে শারীক না করে মৃত্যুবরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

৫৮. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে আল্লাহ্‌র সঙ্গে শিরক করা অবস্থায় মারা যায়, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এবং আমি বললাম, যে আল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন কিছুকে শিরক না করা অবস্থায় মারা যায়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী পর্ব ২৩ : / অধ্যায় ১ হাঃ ১২৩৮)


৫৯. আবূ যার (গিফারী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ যার (গিফারী) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একজন আগন্তুক [জিবরীল (‘আ.)] আমার প্রতিপালকের নিকট হতে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সঙ্গে কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেনঃ যদিও সে যিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে। (কৃত কর্মের শাস্তি ভোগ অথবা ক্ষমা লাভের পরই সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। কারন কাবীরাহ গুনাহে লিপ্ত হলেই মানুষ ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায় না। হাদিসটি মুসলিম নামধারী চরমপন্থী দল খারিজীদের আকীদার প্রতিবাদে একটি মযবুত দলীল। ওদের ধারনা, মানুষ কাবীরাহ গুনাহে লিপ্ত হলেই কাফির হয়ে যায় (নাউযুবিল্লাহ)।) (বুখারী পর্ব ২৩ : /১ হাঃ ১২৩৭, মুসলিম ১/৪০, হাঃ ৯৪, আহমাদ ২১৪৭১)


৬০. আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। তাঁর পরিধানে তখন সাদা পোশাক ছিল। তখন তিনি নিদ্রিত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আবার এলাম, তখন তিনি জেগে গেছেন। তিনি বললেনঃ যে কোন বান্দা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে এবং এ অবস্থার উপরে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও। আমি বললামঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আবূ যার এর নাসিকা ধূলায় ধূসরিত হলেও। আবূ যার (রাঃ) যখনই এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখন আবূ যারের নাসিকা ধূলায় ধূসরিত হলেও বাক্যটি বলতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ এ কথা প্রযোজ্য হয় মৃত্যুর সময় বা তার পূর্বে যখন সে তাওবাহ করে ও লজ্জিত হয় এবং বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, তখন তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারী পর্ব ৭৭ : /২৪ হাঃ ৫৮২৭


 

Was this article helpful?

Related Articles