৪৮/১৩.
১৭২৮. আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খাইবার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা রাবী বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খাইবারের দিকে যাত্রা করলেন, তখন সাথী লোকজন একটি উপত্যকায় পৌঁছে এই বলে উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর দিতে শুরু করল-আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। (আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতীত কোন প্রকৃত ইলাহ নেই)। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা নিজেদের প্রতি দয়া কর। কারণ তোমরা এমন কোন সত্তাকে ডাকছ না যিনি বধির বা অনুপস্থিত। বরং তোমরা তো ডাকছ সেই সত্তাকে যিনি শ্রবণকারী ও অতি নিকটে অবস্থানকারী, যিনি তোমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। [আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন] আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাওয়ারীর পেছনে ছিলাম। তিনি আমাকে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলতে শুনে বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স! আমি বললাম, আমি উপস্থিত হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি কথা শিখিয়ে দেব কি যা জান্নাতের ভাণ্ডারসমূহের মধ্যে একটি ভাণ্ডার? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্র রাসূল। আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তা হল ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। (বুখারী পর্ব ৬৪ অধ্যায় ৩৯ হাদীস নং ৪২০২; মুসলিম ৪৮ অধ্যায় ১৩ হাঃ ২৭০৪)
১৭২৯. আবু বাকর সিদ্দিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আরয করলেন, আমাকে সলাতে পাঠ করার জন্য একটি দু’আ শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, এ দু’আটি বলবে- “হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অধিক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ হতে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (বুখারী পর্ব ১০ অধ্যায় ১৪৯ হাদীস নং ৮৩৪; মুসলিম অধ্যায় ১৩, ২৭০৫)
১৭৩০. ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে আল্লাহ্র! আমাকে এমন একটি দু‘আ শিখিয়ে দিন যা দিয়ে আমি আমার সলাতে দু‘আ করতে পারি। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি বল, …(আরবী)…. হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসের ওপর অত্যধিক যুলুম করেছি। অথচ আপনি ব্যতীত আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করার কেউই নেই। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাকে সম্পূর্ণভাবে ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয়ই আপনিই অধিক ক্ষমাপরায়ণ ও দয়াবান। (বুখারী পর্ব ৯৭ অধ্যায় ৯ হাদীস নং ৭৩৮৭-৭৩৮৮; মুসলিম ৪৮ অধ্যায় ১৩, হাঃ ২৭০৫)