মেহমানের সাদর অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করা
[Note: এ অধ্যায়ের কুরআনের আয়াত গুলো পরে আপডেট করা হবে]
৭০৬. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সমাদর করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের উপর আস্থা রাখে, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা নীরব থাকে। (বুখারী, মুসলিম)
৭০৭. আবু শুরাইহ খুয়াইলিদ ইবনে আমর আল-খুযাঈ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে তার হক আদায় সহকারে। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তার হক কি? তিনি বলেন, তার একদিন ও একরাত (তাকে সমাদর ও যত্ন করবে)। মেহমানদারির সীমা হল তিন দিন। এর চাইতে অতিরিক্ত করা সাদকাহ স্বরুপ।
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিমের এক বর্ণনায় রয়েছেঃ মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট সে পরিমাণ সময় (মেহমান হিসেবে) অবস্থান করা হালাল নয় যা তাকে গুনাহগার বানিয়ে দেয়। সাহাবীগণ বলেন, সে তাকে গুনাহগার বানাবে কিরূপে? রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ সে তার নিকট অবস্থান করতে থাকবে। অথচ তার নিকট এমন কোন জিনিস নেই, যা দিয়ে সে তার মেহমানদারি করবে।