মুহাররম, শাবান ও সম্মানী মাসগুলোতে রোযা পালনের ফযীলত
১২৪৭. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ রমযানের রোযার পর উত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর উত্তম নামায হচ্ছে রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায। (বুখারী ও মুসলিম)
১২৪৮. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) শাবান মাস অপেক্ষা বেশি আর কোন মাসে রোযা রাখতেন না। কারণ, তিনি অল্প কয়দিন ব্যতীত পুরো শাবান মাসই রোযা রাখতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
১২৪৯. হযরত মুজীবা আল বাহিলীয়া তাঁর পিতা বা চাচা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁর পিতা বা চাচা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর খেদমতে হাযির হন। তারপর তিনি চলে যান এবং এক বছর পর আবার হাযির হন। এ সময় তাঁর অবস্থা ও চেহারা সুরাত (অনেক) বদলে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না? তিনি বললেনঃ তুমি কে? বলেনঃ আমি হলাম সেই বাহিলী, আগের বছর আপনার কাছে এসেছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার এই পরিবর্তন কেমন করে হলো, তোমার চেহারা সুরাত না বেশ সুন্দর ছিল? হযরত বাহিলী (রা) বললেনঃ সেবারে আপনার কাছ থেকে বিদায় নেবার পর থেকে আমি রাতে ব্যতীত আর কখনো খাবার খাইনি। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ কেন তুমি নিজের নাফসকে কষ্ট দিয়েছো? তারপর বলেনঃ রমযান মাসের পুরো রোযা রাখ আর এরপর প্রত্যেক মাসে একদিন করে রোযা রাখ। হযরত বাহিলী (রাঃ) আরয করেনঃ আরো বাড়িয়ে দিন, কারণ, আমার শক্তি আছে। তিনি বললেন, ঠিক আছে, প্রতি মাসে দু’দিন করে। হযরত বাহিলী (রাঃ) বলেনঃ আরো বাড়িয়ে দিন। তিনি বললেন, তাহলে প্রতি মাসে তিন দিন করে। বাহিলী (রাঃ) বলেনঃ আরো বাড়িয়ে দিন। তিনি বলেনঃ বেশ, হারাম মাসগুলোর রোযা রাখ এবং ছেড়ে দাও। হারাম মাসগুলোর রোযা রাখ এবং ছেড়ে দাও। হারাম মাসগুলোর রোযা রাখ এবং ছেড়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেনঃ তিনি নিজের তিন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করেন, প্রথমে তাদেরকে মিলান এবং ছেড়ে দেন (এর অর্থ হচ্ছে তিন দিন রোযা রাখ এবং তিন দিন ছেড়ে দাও)। (আবু দাঊদ)