৮৪৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মহিলাই যেন মাহরাম পুরুষকে সঙ্গে না নিয়ে তিন দিনের সফর না করে।
[বোখারী পর্ব ১৮/৪ হাঃ ১০৮৬, মুসলিম পর্ব ১৫/৭৪ হাঃ ১৩৩৮] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৮৪৮. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, চারটি বিষয় যা আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] হইতে শুনিয়াছি যা আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে দিয়েছে এবং চমৎকৃত করে ফেলেছে। [তা হল এই], স্বামী কিংবা মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলা দুদিনের পথ সফর করিবে না। ঈদুল ফিত্র এবং ঈদুল আযহা- এ দু দিন কেউ সওম পালন করিবে না। আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উদয় পর্যন্ত কেউ কোন সালাত আদায় করিবে না। আর মাসজিদে হারম [কাবা], আমার মাসজিদ [মাসজিদে নাববী] এবং মাসজিদে আকসা [বাইতুল মাকদিস]- এ তিন মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মাসজিদের জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করিবে না।
[বোখারী পর্ব ২৮/২৬ হাঃ ১৮৬৪, মুসলিম পর্ব ১৫/৭৪, হাঃ ১৩৪০] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৮৪৯. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ্ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মাহ্রাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে একদিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়।
[বোখারী পর্ব ১৮/৪ হাঃ ১০৮৮, মুসলিম পর্ব ১৫/৭৪, হাঃ ১৩৩৯] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৮৫০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন পুরুষ যেন অপর মহিলার সঙ্গে নিভৃতে অবস্থান না করে, কোন স্ত্রীলোক যেন কোন মাহরাম সঙ্গী ছাড়া সফর না করে। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলিল, হে আল্লাহর রসূল ! অমুক যুদ্ধের জন্য আমার নাম লেখা হয়েছে। কিন্তু আমার স্ত্রী হাজ্জযাত্রী। তখন আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, তবে যাও, তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হাজ্জ কর।
[বোখারী পর্ব ৫৬/১৪ হাঃ ৩০০৬, মুসলিম কিতাবুল হাজ্জ হাঃ ১৩৪১] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস