মুসলমানদেরকে হেয় মনে করা নিষেধ
আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“হে ঈমানদারগণ! না পুরূষেরা পুরুষদের প্রতি ঠাট্টা বিদ্রূপ করবে। কেননা হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম হবে। আর না মহিলারা মহিলাদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবে। কেননা হতে পারে তারা বিদ্রূপ-কারীদের চেয়ে উত্তম হবে। নিজেরা নিজেদের প্রতি শ্লেষ বাক্য নিক্ষেপ করনা। একে অপরকে খারাপ উপনামে ডেকো না। ঈমান গ্রহণের পর ফাসেকী কাজে লিপ্ত হওয়া খারাপ কথা। যেসব লোক এরূপ আচরণ থেকে তওবা করে বিরত না থাকবে, তারাই যালেম হিসাবে গণ্য হবে।” (সূরা হুজরাতঃ ১১)
তিনি আরো বলেছেনঃ
“নিশ্চিত ধ্বংস এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে লোকদের গালাগালি করা এবং দোষ প্রচার করায় অভ্যস্ত।” (সূরা হুমাযাঃ ১)
১৫৭৫. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, “কোন ব্যক্তির মন্দ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট, সে তার মুসলমান ভাইকে অবজ্ঞার চোখে দেখবে।” (মুসলিম)
১৫৭৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) নবী করীম (স) কর্তৃক বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে বেহেশতে যেতে পারবে না। এক ব্যক্তি বলল, মানব তার জামা কাপড়, জুতা ইত্যাদি সুন্দর হওয়া পছন্দ করে । তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। হিংসা হল সত্য হতে বিমুখ হওয়া এবং মানুষকে তুচ্ছ মনে করা। (মুসলিম)
১৫৭৭. হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহর শপথ, অমুক ব্যক্তিকে ক্ষমা করবে না। এতে মহান আল্লাহ বলবেন, সে কে? যে আমার নামে শপথ করে বলে আমি আমুক ব্যক্তিকে ক্ষমা করব না। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমার সব কার্যসমূহ বাতিল করে দিলাম। (মুসলিম)