মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা এবং নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া তা প্রকাশ না করা
মহান আল্লাহ বলেনঃ
‘যেসব লোক চায় ঈমানদার লোকদের মধ্যে নির্লজ্জতার প্রসার ঘটুক তারা দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন শাস্তি লাভের যোগ্য।’ (সূরা আন-নূরঃ ১৯)
২৪০. হযরত আবু হুরাইরা (রা)-এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে বান্দাই অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। (মুসলিম)
২৪১. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরামকে বলতে শুনেছিঃ ‘আমার উম্মতের সবার গুনাহ্ ক্ষমা করা হবে; কিন্তু (অন্যের) দোষ-ত্রুটি প্রকাশকারীদের গুনাহ ক্ষমা করা হবে না।’ দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করার ধরণ হলোঃ কোন ব্যক্তি রাতের বেলা কোন কাজ করল তারপর সকাল হল। আল্লাহ্ তার এ কাজ গোপন রাখবেন। কিন্তু লোকটি (সকাল বেলা) বলবেঃ হে অমুক, আমি গতরাতে এই কাজ করেছি অথচ সে রাত যাপন করেছিল এমন অবস্থায় যে আল্লাহ তার কাজগুলো গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু সকাল বেলা সে আল্লাহর এই আড়ালকে সরিয়ে ফেলল। (বুখারী ও মুসলিম)
২৪২. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন বাদী অনৈতিক কাজ করলে (ব্যভিচার করলে) এবং তা প্রমাণিত হলে তার ওপর বেত্রদণ্ড কার্যকর করতে হবে। কিন্তু তাকে গালমন্দ বা ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। সে যদি তৃতীয়বার অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়, তবে তাকে বিক্রি করে দিতে হবে, তা একটি পশমী রশির বিনিময়ে হলেও। (বুখারী ও মুসলিম)
২৪৩. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। লোকটি মদ পান করেছিল। তিনি আদেশ দিলেনঃ তাকে প্রহার করো। আবু হুরাইরা (রা) বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে এবং কেউবা কাপড় দিয়ে প্রহার করলো। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল কতিপয় ব্যক্তি বলেন, আল্লাহ তোমায় অপদস্থ করেছেন। রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এরূপ কথা বলোনা; শয়তানকে তার ওপর বিজয়ী করে দিওনা। (বুখারী)