মিথ্যা বলা হারাম
আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“এমন কোন বিষয়ের পিছনে লেগে যেওনা, যে সম্পর্কে তোমার জানা নেই। শ্রবণ শক্তি, দৃষ্টি শক্তি ও অন্তঃকরণ সব কিছুর জন্যই জবাবদিহি করতে হবে।” (সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩৬)
১৫৪৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, সত্যবাদীতা কল্যাণ ও মঙ্গলের পথ দেখায়, আর কল্যাণ মানবকে বেহেশতের পথে নিয়ে যায়। কোন মানব সত্য কথা বলতে থাকে অবশেষে আল্লাহ তায়ালা তাকে সত্যবাদীদের তালিকায় গণ্য করে নেন। আর মিথ্যা মানবকে পাপের দিকে নিয়ে যায়। আর পাপ তাকে দোযখে নিয়ে যায়। কোন ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলতে থাকে অবশেষ আল্লাহর তাকে মিথ্যাবাদীদের তালিকাভুক্ত করেন। (বুখারি ও মুসলিম )
১৫৪৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, যার মধ্যে চারটি আচরণ পাওয়া যাবে, সে পরিপূর্ণ মুনাফেক। আর যার মধ্যে এসবের যে কোন একটি আচারণ পাওয়া যাবে। আর যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করবে সে পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফেকির একটি অভ্যাস আছে বলা হবে। ( ঐগুলি হলো ) যখন আমানত রাখা হয়, তখন খেয়ানত করে, কথায় কথায় মিথ্যা বলে, ওয়াদা-চুক্তি ভঙ্গ করে এবং ঝগড়া করার সময় অশ্লীর বাক্য ব্যবহার করে।(বুখারী ও মুসলিম)
১৫৪৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্নিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এমন স্বপ্ন বর্ণনা করে যা সে আদৌ দেখেনি, তাকে দু’টি যবের দানার মধ্যে গিট লাগাতে বলা হবে। কিন্তু সে কখনো তা পারবে না। যে ব্যক্তি কোন লোক সমষ্টির এমন কথা কান লাগিয়ে শুনতে থাকে যা তারা পছন্দ করে না, কেয়ামাতের দিন তার কানে তপ্ত সিসা ঢেলে দেয়া হবে। যে ব্যক্তি কোন জীবের প্রতিকৃতি বা ছবি নির্মাণ করবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে এবং তাকে বাধ্য করা হবে তার মধ্যে জীবন সঞ্চয় করতে। কিন্তু সেটা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। (বুখারী)
১৫৪৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, সবচেয়ে বড় অপবাদ হল, কোন ব্যক্তি তার চোখকে এমন বস্তু দেখাবে যা তার চোখ প্রকৃতপক্ষে দেখেনি। (বুখারী)
১৫৪৭ হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) প্রায়ই তাঁর সাহাবাদের জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? যাকে আল্লাহ তাওফিক দিতেন, তিনি তাঁর কাছে তার স্বপ্নের কথা বর্ণনা করতেন। একদিন সকালে তিনি আমাদের বললেন, আজ রাতে (স্বপ্নে) আমার কাছে দুইজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকে বলল, আমাদের সাথে চলুন। আমি তাদের সাথে গেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে গিয়ে পৌঁছালাম, যে চিত হয়ে শুয়ে রয়েছে। অপর এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তির মাথায় আঘাত করছে এবং তা থেতলিয়ে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তখন তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ব্যক্তিটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে এবং তা নিয়ে ফিরে আসার সাথে সাথেই ব্যক্তিটির মাথা পুনরায় পূর্বের মত ভাল হয়ে যাচ্ছে। সে আবার ব্যক্তিটির কাছে ফিরে আসছে এবং পূর্বের মত শাস্তি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমি আমার সাথী দু’জনকে জিজ্ঞেস করলাম, সুবাহানাল্লাহ! এরা কারা? তারা আমাকে বলল, সামনে চলুন! সামনে চলুন! সুতরাং আমরা সামনে অগ্রসর হলাম। আমরা এক ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌঁছালাম। সে ঘাড় বাঁকা করে শুয়ে আছে। অপর ব্যক্তি তার কাছে লোহার আকঁড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তার চেহারার এক দিক হতে তার মাথা, নাক ও চোখকে ঘাড় পর্যন্ত চিরে ফেলছে। পুনরায় তার মুখমণ্ডলের অপর দিক দিয়েও প্রথম দিকের মত মাথা, নাক ও চোখ ঘাড় পর্যন্ত চিরছে। চেহারার দ্বিতীয় পার্শ্বের চেরা শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রথম পার্শ্ব পূর্ববৎ ঠিক হয়ে যাচ্ছে। পুনরায় লোকটি এ পাশে আবার আগের মত চিরছে। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, আমি বললাম সুবহানাল্লাহ! এরা কারা? তারা উভয় আমাকে বলল, সামনে চলুন, সামনে চলুন। আমরা অগ্রসর হলাম এবং চুলার মত একটা গর্তের কাছে গিয়ে পৌঁছালাম। হাদীসের রাবী (বর্ণনাকারী) বলেন, “আমার ধারণা, তিনি বলেছেন, গর্তের ভিতর জোরে চিৎকার ও শোরগোল হচ্ছিল।” আমরা উঁকি দিয়ে দেখলাম, অনেক উলঙ্গ নারী-পুরুষ সেখানে রয়েছে। তাদের নীচ হতে আগুনের লেলিহান শিখা উঠছে। যখন তা তাদেরকে বেষ্টন করে ধরছে তখন তারা উচ্চ স্বরে চিৎকার করছে। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা আমাকে বলল সামনে চলুন, সামনে চলুন। আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে একটি ঝর্ণায় পৌছালাম। বর্ণনাকারী বলেন আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, এর পানির রং ছিল রক্তের মত লাল। ঝর্ণার মধ্যে এক ব্যক্তি সাঁতার কাটছে। অন্য ব্যক্তি ঝর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। সে তার কাছে অনেক পাথর স্তুপ করে রেখেছে। সন্তরণকারী যখন সাঁতার কাটতে কাটতে কিনারের ব্যক্তির কাছে আগমন করছে, সে তার মুখের উপর এমন এক পাথর ছুঁড়ছে যার আঘাতে তার মুখ চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সে আবার সাত রাতে আরম্ভ করছে। এভাবে সাঁত রাতে সাঁত রাতে যখনই সে ঝর্ণার কিনারায় পৌঁছে, তখনই ঐ ব্যক্তি পাথর ছুঁড়ে তার মুখ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। আমি সাথীদ্বয়কে জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা আমাকে বলল সামনে চলুন! সামনে চলুন! আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে দেখতে কুৎসিত দর্শন ব্যক্তির কাছে এসে পৌঁছালাম। তার মতো কদাকার চেহারার ব্যক্তি খুব একটা দেখা যায় না। তার সামনে রয়েছে জ্বলন্ত আগুন। সে তার চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমি সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বলল, সামনে চলুন, সামনে চলুন। আমরা সেখান হতে সামনে এগিয়ে একটা সবুজ শ্যামল বাগানে পৌঁছলাম। সব প্রকারের বসন্তকালীন ফলে বাগনটি সুসজ্জিত। বাগানের মাঝখানে একজন দীর্ঘকায় লোক দেখতে পেলাম। দেহের উচ্চতার জন্য আমি যেন তার মাথা দেখতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল তার মাথা আসমানের সাথে ঠেকে গেছে। তার চার পাশে ছোট ছোট শিশু যাদেরকে আমি কখনো দেখেনি। আমি সাথীদ্বয়েকে জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে এবং এবং শিশুরা কারা? সাথীদ্বয় আমাকে বলল, সামনে চলুন, সামনে চলুন! আমরা সেখানে হতে এগিয়ে গিয়ে একটা বিরাট বৃক্ষের কাছে পৌঁছলাম। এর চেয়ে এবং সুন্দর গাছ ইতোপূর্বে আমি কখনো দেখিনি। তারা আমাকে গাছে উঠতে বলল। গাছ বেয়ে আমরা সবাই এমন একটি শহরে পৌছলাম যা সোনা ও রূপার ইট দিয়ে তৈরি। আমরা নগরীর দ্বারপ্রান্তে পৌছে দ্বার খুলতে বললে, আমাদের জন্য তা খুলে দেয়া হল। আমরা প্রবেশ করলে সেখানে এমন কতক ব্যক্তি আমদের সাথে দেখা করল যাদের দেহের অর্ধেক এত সুন্দর এবং অর্ধেক এত কুৎসিৎ তুমি খুব কমই দেখতে পাবে। আমার সাথীদ্বয় তাদেরকে বলল, যাও এ ঝর্ণার মধ্যে নাম। এখানে বাগানের মাঝ দিয়ে একটি ঝর্ণা ছিল। তার পানি ছিল খুবই স্বচ্ছ। তারা গিয়ে ঐ ঝর্ণায় অবতরণ করল। এরপর উঠে আমাদের কাছে আসল। তখন তাদের দেহের কদাকার অংশ আর অবশিষ্ট নেই। সম্পূর্ণ দেহ ও সুন্দর আকর্ষণীয় হয়ে গিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, সাথীদ্বয় আমাকে বলল, এটা ‘আদন’ নামক বেহেশত। আর এটাই আপনার বাসস্থান। আমি উপরের দিকে দৃষ্টিপাক করে সাদা মেঘের মত ধবধবে বালাখানা দেখতে পেলাম। সাথীদ্বয় বলল, এটা আপনার বাসভবন। আমি বললাম, আল্লাহ তোমাদের অফুরন্ত কল্যাণ দান করুন। আমাকে একটু ভিতরে গিয়ে দেখতে দাও। তারা বলল, এখন আপনি প্রবেশ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ ওখানে আপনিই গমন করবেন। আমি তাদেরকে বললাম, আমি আজ রাতে অনেক আশ্চর্যজনক বিষয় দেখলাম। এসব কি দেখলাম? তারা বলল, এগুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানাব। প্রথমে যে ব্যক্তির কাছ দিয়ে আপনি এসেছে যার মাথা প্রস্তরাঘাতে চূর্ন- বিচূর্ন করা হচ্ছে, সে এমন এক ব্যক্তি যে কুরআন হেফজ করে তা পরিত্যাগ করে এবং ফরয নামায আদায় না করেই ঘুমিয়ে পড়ে।
দ্বিতীয়, যে ব্যক্তিরে কাছ দিয়ে আপনি এসেছেন, যার মাথা, নাক ও চোখ ঘাড় পর্যন্ত লোহার আঁকড়া দিয়ে চিরে দেয়া হচ্ছে, সে সকাল বেলা ঘর হতে বের হয়েই এমন সব মিথ্যা কথা বলত যা সাধারণ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ত।
তৃতীয়, সে সব উলঙ্গ নারী- পুরুষ আগুনের গর্তের মধ্যে দেখেছেন, তারা হল ব্যভিচারী নারী-পুরুষ।
চতুর্থ, যে ব্যক্তিকে ঝর্ণার মধ্যে সাঁতার কাটতে দেখেছেন এবং যার মুখে প্রস্তরাঘাত করা হচ্ছে সে ছিল সুদখোর।
পঞ্চম যে কদাকার ব্যক্তিদের আগুন জ্বালাতে এবং তার চারপাশে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় দেখেছেন; সে হল দোযখের দারোগা মালেক।
ষষ্ঠ বাগানের মধ্যকার দীর্ঘাঙ্গী ব্যক্তি হলো হযরত ইবরাহীম (আ) আর তার চতুষ্পাশ্বের্র শিশুরা হল যারা ফিতরাত বা সত্য দ্বীনের উপর জন্মেছে এবং মৃতুবরণ করেছে। হাদীসের রাবী বলেন, কোন একজন মুসলিম জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (স) মুশকিরদের শিশু সন্তানদের কি অবস্থা হবে। রাসূলুল্লাহ (স) বলল তাদের মধ্যে মুশরিকদের শিশু সন্তানরাও রয়েছে।
সপ্তম, অর্ধেক কুৎসিত ও অর্ধেক সুশ্রী দেহের যে ব্যক্তিদেরকে দেখেছেন, তারা ভাল-মন্দ উভয় ধরনের কাজের সংমিশ্রণ করে ফেলেছিল আল্লাহ তাদের এ অপরাধ ক্ষমা করে দিলেন। (বুখারী)
অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, আজ রাত্রে আমার নিকট দু’ব্যক্তি এসে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। এরপর তিনি উপরে বর্ণিত ঘটনা বললেন, আমার রওয়ানা হয়ে চুলোর মতো একটি গর্তের নিকট গিয়ে পৌঁছালাম। এর উপরের দিকটা সংকীর্ণ এবং নীচের দিকটা প্রশস্ত ছিল এবং এর মধ্যে আগুন জ্বলছিল। লেলিহান শিখা সজোরে উপরের দিকে আসার সাথে সাথে ভেতরের লোকগুলোও উপরে চলে আসত এমনকি তাদের গর্তের মুখ দিয়ে বের হবার উপক্রম হতো । অগ্নিশিখার তেজ কমে গেলে তারা আবার নীচে নিক্ষিপ্ত হতো। এখানকার শাস্তিপ্রাপ্ত নর- নারী সবাই উলঙ্গ।
হাদীসের পরবতী বণনা, এরপর আমরা রক্তে পরিপূর্ণ একটি ঝর্ণার কাছে গিয়ে পৌঁছলাম। ঝর্ণার মাঝখানে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং কূলেও একজন। তার সামনে কতগুলো পাথর রয়েছে। ঝর্ণার মাঝখানের ব্যক্তি সামনে এগিয়ে এসে যখনই ঝর্ণা থেকে উঠে আসার চেষ্টা করছে তখনই কিনারার ব্যক্তি তার মুখের উপর পাথর মেরে তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে এবং সে স্বস্থানে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এতে আরো আছে আমার দু’সাথী আমাকে নিয়ে একটি গাছে উঠল। তারা আমাকে অতি সুন্দর একটি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করাল, যার থেকে সুন্দর ঘর ইতোপূর্বে আমি আর কখনো দেখিনি। এর মধ্যে যুবক, বৃদ্ধ উভয় প্রকারের লোক রয়েছে। এতে আরো আছে যার মস্তক থেকে ঘাড় পর্যন্ত চিরতে আপনি দেখেছেন। সে ছিল মিথ্যাবাদী । সে মিথ্যা বলত আর আরো আছে যার মস্তক থেকে ঘাড় পর্যন্ত চিরদিন আপনি দেখেছেন। সে ছিল মিথ্যাবাদী। সে মিথ্যা বলত আর সেগুলো বর্ণনা করা হতো এবং এভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ত। আর এ শাস্তি কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। ঐ বর্ণনায় আরও আছে, যে ব্যক্তির মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে আপনি দেখেছেন। আল্লাহ তাকে কুরআনের শিক্ষা লাভের সৌভাগ্য দান করেছিলেন। কিন্তু সে তা রেখে রাত্রে শুধু ঘুমিয়ে থাকত এবং দিনে কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী আমল করত না। তাকেও এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত শাস্তি দেয়া হবে।
আর প্রথম যে ঘরটিতে আপনি প্রবেশ করেছিলেন তা হল শহীদদের বাসস্থান। আমি হলাম জিবরাঈল আর ইনি হলেন মীকাঈল (আ)। আপনি আপনার মাথা উপরের দিকে তুলুন। আমি মাতা উপরের দিকে তুলে আমার মাথার উপরে মেঘের মতো কিছু দেখতে পেলাম। তারা উভয়ে বলল, এটা আপনার বাসস্থান। আমি বললাম, আমাকে একটু আমার ঘরে প্রবেশ করতে দাও। তারা বলল, আপনার হায়াত (জীবনকাল) এখনও অবশিষ্ট রয়েছে যা আপনি পূর্ণ করেননি। যদি আপনার জীবনকাল পূর্ণ করে থাকতেন তাহলে আপনি এ প্রসাদে প্রবেশ করতে পারতেন। (বুখারী)