১২১৮. মুজাশি ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু মাবাদ [রাদি.] [মুজালিদ] কে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট গেলাম যেন তিনি তাহাঁর নিকট হইতে হিজরাতের জন্য বাইআত গ্রহণ করেন। তখন তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, হিজরাতকারীদের জন্য হিজরাত অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। আমি তার নিকট হইতে ইসলাম ও জিহাদের জন্য বাইআত গ্রহণ করব। {বর্ণনাকারী আবু উসমান নাহদী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]} বলেন, এরপর আমি আবু মাবাদ [রাদি.]-এর সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বলিলেন, মুজাশি [রাদি.] সত্যি বলেছেন।
[বোখারী পর্ব ৬৪ অধ্যায় ৫৪ হাদীস নং ৪৩০৮; মুসলিম ৩৩/২০, হাঃ ১৮৬৩]
১২১৯. আবদুল্লাহ্ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] মাক্কাহ বিজয়ের দিন বলেছেন, মক্কা বিজয়ের পর [মক্কা থেকে] হিজরাতের প্রয়োজন নেই। কিন্তু জিহাদ ও নেক কাজের নিয়্যাত বাকী আছে আর যখন তোমাদের জিহাদের ডাক দেয়া হইবে তখন তোমরা বেরিয়ে পড়বে।
[বোখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ১৯৪ হাদীস নং ৩০৭৭; মুসলিম ৩৩/২০, হাঃ ১৩৫৩]
১২২০. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
এক বেদুঈন আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট হিজরাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তোমার তো বড় সাহস! হিজরতের ব্যাপার কঠিন, বরং যাকাত দেয়ার মত তোমার কোন উট আছে কি? সে বলিল, জী হ্যাঁ, আছে। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বললেনঃ সাগরের ওপারে হলেও [যেখানেই থাক] তুমি আমাল করিবে। তোমার ন্যূনতম আমালও আল্লাহ বিনষ্ট করবেন না।
[বোখারী পর্ব ২৪ অধ্যায় ৩৬ হাদীস নং ১৪৫২; মুসলিম ৩৩/২০, হাঃ ১৮৬৫]