২৯৮. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন মাসজিদ তৈরী করা হয়েছে? তিনি বলিলেন, মাসজিদে হারাম। আমি বললাম, অতঃপর কোন্টি? তিনি বলিলেন, মাসজিদে আক্সা। আমি বললাম, উভয় মাসজিদের [তৈরীর] মাঝে কত ব্যবধান ছিল? তিনি বলিলেন, চল্লিশ বছর। অতঃপর তোমার যেখানেই সলাতের সময় হইবে, সেখানেই সলাত আদায় করে নিবে। কেননা এর মধ্যে ফাযীলাত নিহিত রয়েছে।
[বোখারী পর্ব ৬০ : /১০ হাঃ ৩৩৬৬, মুসলিম হাঃ] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
২৯৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ.
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় প্রদান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কোন নাবীকে দেয়া হয়নি। [১] আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যা একমাসের দূরত্ব পর্যন্ত অনুভূত হয়। [২] সমস্ত যমীন আমার জন্যে সলাত আদায়ের স্থান ও পবিত্রতা অর্জনের উপায় করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কেউ যেখানে সলাতের ওয়াক্ত হয় [সেখানেই] যেন সলাত আদায় করে নেয়। [৩] আমার জন্যে গনীমত হালাল করা হয়েছে। [৪] অন্যান্য নাবী নিজেদের বিশেষ গোত্রের প্রতি প্রেরিত হইতেন আর আমাকে সকল মানবের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে। [৫] আমাকে সার্বজনীন সুপারিশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে।
[বোখারী পর্ব ৮ : /৫৬ হাঃ ৪৩৮, মুসলিম হাঃ] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩০০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, অল্প শব্দে ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য বলার শক্তিসহ আমাকে পাঠানো হয়েছে এবং শত্রুর মনে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। একবার আমি নিদ্রায় ছিলাম, তখন পৃথিবীর ধনভাণ্ডার সমূহের চাবি আমার হাতে দেয়া হয়েছে। আবু হুরাইরা [রাদি.] বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] তো চলে গেছেন আর তোমরা ওগুলো বাহির করছ।
[বোখারী পর্ব ৫৬ : /১২২ হাঃ ২৯৭৭, মুসলিম ৫/৫ হাঃ ৫২৩] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস