১৯৬. আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারীর নিকট লোক পাঠালেন। তিনি আসলেন। তখন তাঁর মাথা থেকে পানির ফোঁটা ঝরছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’সম্ভবত আমরা তোমাকে তাড়াহুড়া করতে বাধ্য করেছি।’ তিনি বললেন, ’জী।’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যখন তাড়াহুড়ার কারণে মনী বের না হবে (অথবা বললেন), মনীর অভাবজনিত কারণে তা বের না হবে তখন উযূ করে নিবে।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৪; উযু, অধ্যায় ৩৪, হাঃ ১৮০; মুসলিম, পর্ব ৩: হায়য, অধ্যায়২১, হাঃ ৩৪৫
১৯৭. উবাই ইবনু কা’ব (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীর সাথে সংগত হলে যদি বীর্য বের না হয় (তার হুকুম কী?) তিনি বললেনঃ স্ত্রী থেকে যা লেগেছে তা ধুয়ে উযূ করবে ও সালাত আদায় করবে।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৫: গোসল, অধ্যায় ২৯, হাঃ ২৯৩; মুসলিম, পর্ব ৩: হায়য, অধ্যায় ২১, হাঃ ৩৪৬
১৯৮. যায়দ ইবনু খালিদ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি ’উসমান ইবনু ’আফফান (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ ’কেউ যদি স্ত্রী সহবাস করে, কিন্তু মনী (বীর্য) বের না হয় (তবে তার হুকুম কী)? ’উসমান (রাযি.) বললেনঃ ’সে সালাতের ন্যায় উযূ করে নেবে এবং তার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে। উসমান (রাযি.) বলেন, আমি এ কথা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৪ : উযূ, অধ্যায় ৩৪, হাঃ ১৭৯; মুসলিম, পর্ব ৩: হায়য, অধ্যায় ২১, হাঃ ৩৪৭