বাধা প্রাপ্ত ব্যক্তি ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবে এবং হাজ্জে কিরানের বৈধতা।

৭৭১. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

[মাক্কাহ মুকার্‌রামায়] গোলযোগ চলাকালে উমরাহ্র নিয়ত করে তিনি যখন মাক্কাহর দিকে রওয়ানা হলেন, তখন বলিলেন, বাইতুল্লাহ হইতে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে তাই করব যা করেছিলাম আমরা আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে। তাই তিনি উমরাহ্র ইহরাম বাঁধলেন। কারণ, নাবী [সাঃআঃ]-ও হুদাইবিয়ার বছর উমরাহ্র ইহরাম বেঁধেছিলেন। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] নিজের ব্যাপারে ভেবে চিন্তে বলিলেন, উভয়টিই [হাজ্জ ও উমরাহ] এক রকম। এরপর তিনি তাহাঁর সাথীদের প্রতি লক্ষ্য করে বলিলেন, উভয়টি তো একই রকম। আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি আমার উপর উমরাহ্র সাথে হাজ্জকে ওয়াজিব করে নিলাম। তিনি উভয়টির জন্য একই তাওয়াফ করিলেন এবং এটাই তাহাঁর পক্ষ হইতে যথেষ্ট মনে করেন, আর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়েছিলেন।

[বোখারী পর্ব ২৭/৪ হাঃ ১৮১৩, মুসলিম পর্ব ১৫/২৬ হাঃ ১২৩০] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৭৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

যে বছর হাজ্জাজ ইবনি ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনি যুবাইর [রাদি.]-এর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মাক্কায় আসেন, ঐ বছর ইবনি উমার [রাদি.] হাজ্জের এরাদা করেন। তখন তাঁকে বলা হলো, [বিবাদমান দু দল] মানুষের মধ্যে যুদ্ধ হইতে পারে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, আপনাকে তারা বাধা দিবে। তিনি বলিলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে”- [আহযাব ২১]। কাজেই এমন কিছু হলে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] যা করেছিলেন আমিও তাই করব। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি উমরাহর সঙ্কল্প করলাম। এরপর তিনি বের হলেন এবং বায়দার উঁচু অঞ্চলে পৌঁছার পর তিনি বলিলেন, হাজ্জ ও উমরাহর বিধান একই, আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি উমরাহর সঙ্গে হাজ্জেরও নিয়্যাত করলাম এবং তিনি কুদায়দ হইতে ক্রয় করা একটি হাদী পাঠালেন, এর অতিরিক্ত কিছু করেননি। এরপর তিনি কুরবানী করেননি এবং ইহরামও ত্যাগ করেন নি এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা কোনটাই করেননি। অবশেষে কুরবানীর দিন এলে তিনি কুরবানী করিলেন, মাথা মুণ্ডালেন। তাহাঁর অভিমত হলো, প্রথম তাওয়াফ-এর মাধ্যমেই তিনি হাজ্জ ও উমরাহ উভয়ের তাওয়াফ সেরে নিয়েছেন। ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] এমনই করিয়াছেন।

[বোখারী পর্ব ২৫/৭৭ হাঃ ১৬৪০, মুসলিম ১৫/২৬, হাঃ ১২৩০] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles