বাতনে ওয়াদী থেকে জামরাতুল আকাবাতে কঙ্কর নিক্ষেপ কালে মাক্কাহ্‌কে বাম দিকে রাখা এবং প্রত্যেকবার কঙ্কর নিক্ষেপ করার সময় তাকবীর বলা।

৮১৬. আবদুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবদুল্লাহ [রাদি.] বাতন ওয়াদী হইতে কঙ্কর মারেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, হে আবু আবদুর রহমান! লোকেরা তো এর উচ্চস্থান হইতে কঙ্কর মারে। তিনি বলিলেন, সে সত্তার কসম! যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, এটা সে স্থান, যেখানে সূরা আল-বাকারাহ নাযিল হয়েছে।

[বোখারী পর্ব ২৫/১৩৫ হাঃ ১৭৪৭, মুসলিম পর্ব ১৫/৫০, হাঃ ১২৯৬] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৮১৭. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি হাজ্জাজকে মিম্বরের উপর এরূপ বলিতে শুনিয়াছি, যে সূরার মধ্যে বাকারাহর উল্লেখ রয়েছে, সে সূরার মধ্যে আলু ইমরানের উল্লেখ রয়েছে এবং যে সূরার মধ্যে নিসা-এর উল্লেখ রয়েছে অর্থাৎ সে সূরা আল-বাকারাহ, সূরা আলু ইমরান ও সূরা আন-নিসা বলা পছন্দ করতো না। বর্ণনাকারী আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ ব্যাপারটি আমি ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বললাম। তিনি বলিলেন, আমার কাছে আবদুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রাদি.] বর্ণনা করিয়াছেন যে, জামরায়ে আকাবাতে কংকর মারার সময় তিনি ইবনি মাস্উদ [রাদি.]-এর সঙ্গে ছিলেন। ইবনি মাসউদ [রাদি.] বাতনে ওয়াদীতে গাছটির বরাবর এসে জামরাকে সামনে রেখে দাঁড়ালেন এবং তাকবীর সহকারে কঙ্কর মারলেন। এরপর বলিলেন, সে সত্তার কসম যিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, এ স্থানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি, যাঁর উপর নাযিল হয়েছে সুরা বাকারাহ [অর্থাৎ সূরা বাকারাহ বলা বৈধ]।

[বোখারী পর্ব ২৫/১৩৮ হাঃ ১৭৫০, মুসলিম পর্ব ১৫/৫০ হাঃ ১২৯৬] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles