ফাজ্‌র ও আসরের সলাতের মর্যাদা এবং এ দু সলাতের প্রতি যত্নবান হওয়া।

৩৬৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ফেরেশ্‌তামণ্ডলী পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; একদল দিনে, একদল রাতে। আসর ও ফাজরের সলাতে উভয় দল একত্র হন। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি উঠে যান। তখন তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন্ অবস্থায় রেখে আসলে? অবশ্য তিনি নিজেই তাহাদের ব্যাপারে সর্বাধিক পরিজ্ঞাত। উত্তরে তাঁরা বলেন ; আমরা তাহাদের সলাতে রেখে এসেছি, আর আমরা যখন তাহাদের নিকট গিয়েছিলাম তখনও তারা সলাত আদায়রত অবস্থায় ছিলেন।

[বোখারী পর্ব ৯ : /১৬ হাঃ ৫৫৫, মুসলিম ৫/৩৬, হাঃ ৬৩২] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩৬৮. জরীর ইবনি আবদুল্লাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে [পূর্ণিমার] চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ ঐ চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখিতে পাবে। তাঁকে দেখিতে তোমরা কোনো ভীড়ের সম্মুখীন হইবে না। কাজেই সূর্য উদয়ের এবং অস্ত যাওয়ার পূর্বের সলাত [শয়তানের প্রভাবমুক্ত হয়ে] আদায় করিতে পারলে তোমরা তাই করিবে। অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করিলেন,

وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ

“কাজেই তোমার প্রতিপালকের প্রশংসার তাসবীহ্ পাঠ কর সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে।” [ক্বাফঃ ৩৯] ইসমাঈল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এর অর্থ হল : এমনভাবে আদায় করার চেষ্টা করিবে যেন কখনো ছুটে না যায়

[বোখারী পর্ব ৯ : /১৬ হাঃ ৫৫৪, মুসলিম ৫/৩৬, হাঃ ৬৩৩] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩৬৯. আবু বকর ইবনি আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুই শীতের [ফাজর ও আসরের] সলাত আদায় করিবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।

[বোখারী পর্ব ৯ : /২৬ হাঃ ৫৭৪, মুসলিম ৫/৩৭, হাঃ ৬৩৫] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles