১১০১. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) কখনো যুহরের পূর্বের চার রাকা’আত এবং ফজরের পূর্বের দু’ রাকা’আত নামায ছাড়তেন না। (বুখারী)
১১০২. হযরত আযেশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সা) নফলগুলোর (অর্থাৎ সুন্নাত ও নফল) মধ্যে ফজরের দু’ রাকা’আতের (সুন্নাত) অপেক্ষা আর কোনটার প্রতি এত বেশি খেয়াল রাখতেন না। (বুখারী ও মুসলিম)
১১০৩. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ ফজরের দু’ রাকা’আত দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম। (মুসলিম)
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছেঃ এ দু’টি (রাকা’আত) সমগ্র দুনিয়া অপেক্ষা আমার নিকট অধিক প্রিয়।
১১০৪. রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মুয়াযযিন আবু আবদুল্লাহ বিলাল ইবনে রাবাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর খিদমতে হাযির হলেন, তাঁকে ফজরের নামাযের সময় হয়ে গেছে একথা জানানোর জন্য। কিন্তু আয়েশা (রা) বিলালকে এমন এক ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে ব্যস্ত করেছিলেন। এভাবে বেশ সকাল হয়ে গেল। তখন বিলাল তাঁকে নামাযের খবর দিলেন (অর্থাৎ জামায়াতের জন্য লোকেরা তৈরি হয়ে গেছে)। আবার দ্বিতীয় বার খবর দিলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সঙ্গে সঙ্গেই) বের হয়ে এলেন না। তারপর বাইরে বের হয়ে লোকদের নামায পড়ালেন। হযরত বিলাল (রা) তাঁকে জানালেন, আয়েশা (রা) তাঁকে এমন এক ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে ব্যস্ত, এভাবে বেশ সকাল হয়ে গিয়েছিল। ফলে তাঁর বের হয়ে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি (অর্থাৎ নবী করীম (সা)) বললেনঃ আমি তখন ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাত পড়ছিলাম। একথা শুনে বিলাল (রা) বলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি অনেক বেশি সকাল করে ফেলেছেন। জবাবে তিনি বললেনঃ সকালে আলো যতটুকু ফুটে উঠেছিল তার চেয়ে যদি আরো বেশি ফুটে উঠত তবুও আমি ঐ দু’ রাকা’আত নামায পড়তাম, খুব ভালো করে পড়তাম, খুব সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পড়তাম। (আবু দাঊদ)