`উবাদাহ ইব্নু সামিত [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ – হাদিসের তাহকিকঃহাসান হাদিছ
`উবাদাহ ইব্নু সামিত [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সলাতে সূরাহ আল-ফাতিহা পড়ল না তার নামাজ হলো না।*
আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ২২২ [সহিহ বুখারী : পর্ব ১০ : /৯৫ হাদিছ ৭৫৬, মুসলিম ৪/১১, হাদিছ ৩৯৪]
আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ
আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক সালাতেই কিরা`আত পড়া হয়। তবে যে সব নামাজ আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের শুনিয়ে পড়ব। আর যে সব সলাতে আমাদের না শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে পড়ব। যদি তোমরা উম্মুল কুরআন [সূরাহ আল-ফাতিহা] -এর চেয়ে অধিক না পড়, নামাজ আদায় হয়ে যাবে। আর যদি অধিক পড় তা উত্তম।
আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ২২৩ – হাদিসের তাহকিকঃসহীহ হাদিছ [সহিহ বুখারী : পর্ব ১০ : /১০৪ হাদিছ ৭৭২, মুসলিম ৪/১১, হাদিছ ৩৯৬]
আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ
আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মাসজিদে প্রবেশ করিলেন, তখন একজন সাহাবী এসে নামাজ আদায় করিলেন। অতঃপর তিনি নবী [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে সালাম করিলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বলিলেন, আবার গিয়ে নামাজ আদায় কর। কেননা, তুমিতো নামাজ আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত নামাজ আদায় করিলেন। অতঃপর এসে নবী [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে সালাম করিলেন। তিনি বললেনঃ ফিরে গিয়ে আবার নামাজ আদায় কর। কেননা, তুমি নামাজ আদায় করনি। এভাবে তিনবার বলিলেন। সাহাবী বলিলেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করিয়াছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে নামাজ আদায় করিতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ যখন তুমি নামাজের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাক্বীর বলবে। অতঃপর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু`তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ` আদায় করিবে। অতঃপর সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর এভাবেই পুরো নামাজ আদায় করিবে।
আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ২২৪ – হাদিসের তাহকিকঃসহীহ হাদিছ [সহিহ বুখারী : পর্ব ১০ : /১২২ হাদিছ ৭৫৭, মুসলিম ৪/১১, হাদিছ ৩৯৭]