প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখার ব্যাপারে “আইয়াম বীযে’র রোযা উত্তম। আর এ আইয়ামে বীয হচ্ছে, প্রতি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখ। প্রতি মাসের বরো, তেরো ও চৌদ্দ তারিখকেও আইয়াম বীয বলা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে প্রথম বক্তব্যটিই নির্ভুল এবং সুপরিচিত।
১২৫৯. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে তিনটি অসিয়ত করেনঃ প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা রাখতে, চাশতের দু’ রাকা’আত নামায এবং তৃতীয়টি হচ্ছে শোয়ার আগে আমি যেন বিতর পড়ি নিই। (বুখারী ও মুসলিম)
১২৬০. হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে তিনটি বিষয়ের অসিয়ত করেছেন। আমি যতদিন জীবিত থাকবো ততদিন আমি সেগুলো কক্ষনো ত্যাগ করবো না। সেগুলো হচ্ছেঃ প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখা, চাশতের নামায এবং (তৃতীয়টি হচ্ছে) বিতর না পড়ে যেন কক্ষনো না ঘুমাই। (বুখারী)
১২৬১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা রাখার অর্থ হচ্ছে সারা বছর রোযা রাখা (অর্থাৎ এতে সারা বছর রোযা রাখার সাওয়াব পাওয়া যায়।) (বুখারী ও মুসলিম)
১২৬২. হযরত মু’আযা আল-আদাবীয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত আয়েশা (রা) কে জিজ্ঞেস করেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) কি প্রত্যেক মাসে তিনটি রোযা রাখতেন? তিনি জবাব দেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, মাসের কোন অংশে তিনি রোযা রাখতেন? তিনি বললেনঃ তিনি মাসের কোন অংশে রোযা রাখবেন তার কোন পরওয়া করতেন না। (বরং মাসের যে কোন অংশে চাইতেন রোযা রাখতেন।) (মুসলিম)
১২৬৩. হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যখন তুমি মাসে তিনটি রোযা রাখবে, তখন তের, চৌদ্দ, ও পনের তারিখ রোযা রাখ। (তিরমিযী) ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান।
১২৬৪. হযরত কাতাদা ইবনে মিলহান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে আইয়ামে বীযের রোযা রাখার নির্দেশ দিতেন। আইয়ামে বীযের দিনগুলো হলোঃ মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখ। (আবু দাঊদ)
১২৬৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বাড়ীতে থাকাবস্থায় বা সফরে থাকাবস্থায় কখনো আইয়ামে বীযের রোযা ছাড়তেন না। (নাসায়ী)