আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কৃত ওয়াদা বা চুক্তি পূরণ কর।” (সূরা মায়েদাঃ ১)
তিনি আরো বলেছেনঃ
ওয়াদা বা চুক্তি পূর্ণ কর। কেননা ওয়াদা বা চুক্তি সম্পর্কে তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে।” (সূরা বনী ইসরাইলঃ ৩৪)
১৫৮৫ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যার মধ্যে চারটি দোষ পাওয়া যাবে সে খাঁটি মুনাফেক। আর যার মধ্যে এসবের যেকোন একটি দোষ রয়েছে তার মধ্যে মুনাফেকী করার অভ্যাস সৃষ্টি হয়েছে যে পর্যন্ত না সে তা পরিহার করে। দোষগুলো হল, যে ব্যক্তি আমানতের খেয়ানত করে, কথায় কথায় মিথ্যা বলে, অঙ্গীকার বা চুক্তি ভঙ্গ করে, ঝগড়া করলে অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করে। (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৮৬ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, কেয়ামাতের দিন প্রত্যেক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি পতাকা থাকবে এবং বলা হবে এটি অমুক ব্যক্তির বিশ্বাঘাতকতার ঝাণ্ডা। (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৮৭ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী বিশ্বাঘাতকের জন্য কেয়ামতের দিন তার দুই নিতস্ব বরাবর ঝাণ্ডা উত্তোলিত থাকবে। তার বিশ্বাঘাতকের মাত্রা অনুযায়ী তা তুলে ধরা হবে। সাবধান! রাষ্ট্রপ্রধানের চেয়ে বড় বিশ্বাসাঘাতক আর কেউ হবে না। (মুসলিম)
১৫৮৮ হযরত আবু হোরায়রা (রা) নবী করীম (স) কর্তৃক বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, কেয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিপক্ষে আবেদনকারী হব। যে ব্যক্তি আমার নামে অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করল, যে ব্যক্তি কোন আযাদ বা স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল, আর যে ব্যক্তি কোন শ্রমিককে কাজে নিযুক্ত করে তার কাছ হতে পুরোপুরি কাজ অর্জন করল, কিন্তু মজুরী পরিশোধ করল না। (বুখারী)