প্রকৃত পিতা ছাড়া অন্যের পরিচয় দেয়া এবং ক্রীতদাসের প্রকৃত মনিব ছাড়া অন্যের পরিচয় দেয়া হারাম
১৮০৪. হযরত সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বললেন, যে ব্যক্তি নিজের পিতা ছাড়া অন্য ব্যক্তিকে নিজের পিতা বলে পরিচয় দেয়, অথচ সে জানে ঐ ব্যক্তি তার পিতা নয়, এমন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম। (বুখারী ও মুসলিম)
১৮০৫. হযরত আবু হোরায়রা (রা) নবী করীম (স) হতে বর্ণনা করেছেন। নবী করীম (স) বলেন, নিজের পিতার পরিচয় দিতে অনীহা বোধ করো না। যে ব্যক্তি নিজের পিতার পরিচয়ে অনীহাবোধ করল সে কুফরী করল। (বুখারী ও মুসলিম )
১৮০৬. হযরত ইয়াযীদ ইবনে শারীক ইবনে তারেক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী (রা) -কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা (বক্তৃতা) দিতে দেখেছি। আমি তাকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর শপথ! আমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ছাড়া আর কোন কিতাব নেই, যা আমরা পাঠ করি আর এই সহীফার মধ্যে যা রয়েছে। এরপর তিনি ঐ সহীফা খুলে ধরলেন। তার মধ্যে উটের বয়স সম্পর্কে বর্ণনা ছিল এবং কিছু দণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কিত নির্দেশ ছিল। ভিতর একথাও ছিল রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, ‘আইর’ পর্বত হতে ‘সাওর’ পর্বত র্পযন্ত মদীনার হেরণমের সীমানা। সুতরাং যে ব্যক্তি এই সীমার মধ্যে কোন বিদয়াতী কাজের প্রচলন করবে অথবা কোন বিদ’আত ব্যক্তিকে আশ্রয় দেবে তার উপর আল্লাহর সকল ফেরেশতা এবং সমগ্র মানবজাতির অভিশাপ। আল্লাহ কেয়ামত দিবসে তার কোন ফরজ ও নফল বন্দেগী কবুল করবেন না। সব মুসলমানের চুক্তি বা নিরাপত্তা প্রদান এক একক। সুতরাং তাদের একজন সাধারণ ব্যক্তিও চুক্তি ঠিক রাখার জন্য চেষ্টা করবে। কেননা, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানবের লা’নত। আল্লাহ কেয়ামত দিবসে তার কোন ফরজ ও নফল ইবাদত কবুল করবেন না। যে ব্যক্তি অন্য লোককে নিজের বাবা দাবী অথবা যে ক্রীতদাস নিজের মনিবের নিকট হতে পালিয়ে অপরের নিকট চলে যায় তার প্রতি আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সকল মানবের অভিশাপ। আল্লাহ কেয়ামত দিবসে তার কোন ফরজ ও নফল বন্দেগী কবুল করবেন না। (বুখারী ও মুসলিম)
১৮০৭. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সজ্ঞানে অন্য লোককে নিজের পিতা বলে পরিচয় দিল সে যেন কুফরী করল। যে ব্যক্তি অপরের লোকের জিনিসকে নিজের মলিকানাধীন বলে প্রকাশ করল সে আমাদের দলভুক্ত নয়। সে যেন দোযখে তার বাসস্থান অনুসন্ধান করে। যে ব্যক্তি কোন লোককে কাফের অথবা আল্লাহর শত্রু বলে ডাকে, অথচ সে এরূপ নয়, এক্ষেত্রে অপবাদটি তার নিজের ঘাড়েই প্রত্যাবর্তন করে। (বুখারী ও মুসলিম)