পোশাক-আশাক, চাল-চলন, আচার-আচরণ ইত্যাদিকে পুরুষ কর্তৃক নারীর এবং নারী কর্তৃক পুরুষের অনুকরণ করা হারাম।
১৬৩২. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) নারীদের বেশধারণকারী পুরুষ এবং পুরুশের বেশধারণকারী নারীদের প্রতি লা’নত করেছেন।
অপর বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (স) নারীদের অনুকরণকারী পুরুষদের এবং পুরুষদের অনুকরণকারী নারীদের প্রতি লা’নত করেছেন। (বুখারী)
১৬৩৩. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) নারীর পোশাক পরিধানকারী পুরুষ এবং পুরুষের পোশাক পরিধানকারী নারীদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। (আবু দাউদ)
১৬৩৪. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বণির্ত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, দোযখীদের এমন দুটি দল রয়েছে যাদের আমি দেখেছি। তাদের এক দলের হাতে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে। তারা তা দিয়ে লোকদের প্রহার করবে। আর এক দল হবে মহিলাদের। তাদেরকে পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করা সত্ত্বেও উলঙ্গ দেখাবে। গর্বের সাথে নৃত্যের ভঙ্গিতে বাহু দুলিয়ে পথে চলবে। বুখতী উটের উঁচু কুঁজের মতো করে খোপা বাঁধবে। এসব মহিলারা কখনো বেহেশতে প্রবেশ করবে না এবং বেহেশতের সুঘ্রাণ পাবে না। অথচ বেহেশতের সুঘ্রাণ অনেক দূর হতে পাওয়া যাবে। (মুসলিম)
ইমাম নববী বলেনঃ ‘কাসিয়াত’ অর্থঃ আল্লাহর নিয়ামতরূপে পোশাক পরিধানকারী। ‘আরিয়াত’ অর্থঃ যে শুকরিয়া আদায় করে না অথবা দেহের কিছু অংশ আবৃত করে এবং রূপ সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য কিছু অংশ খোলা রাখে অথবা দেহ লাবণ্য দেখানোর জন্য পাতলা মিহি কাপড় রিধান করে। ‘মাইলাত’ অর্থঃ যে আল্লাহর আনুগত্য বিমুখ এবং যে যেসব বস্তুর হেফাজন করা প্রয়োজন তার হেফাজত করে না। ‘মুমীলাত’ অর্থঃ নিজের কুকর্মগুলো অন্যকে অবহিতকারিণী অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে প্রদর্শনকারিণী। এরূপ সাজসজ্জা ব্যভিচারিনী ও বেশ্যা প্রকৃতির মেয়েরাই সাধারণতঃ করে থাকে। ‘রুউসু হুন্না কাউসনিমাতিল বুখতি’ অর্থঃ চুলের খোপা মোটাকারিণী, যে দেআপট্টা, রূমাল ইত্যাদি পেঁচিয়ে বুখতি কুঁজের মত বড় ও উঁচু করে।