৫১/১৪.
১৮১৭. ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষকে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে খালি পা, উলঙ্গ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তখন তো পুরুষ ও নারীগণ একে অপরের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে। তিনি বললেনঃএরূপ ইচ্ছে করার চেয়েও কঠিন হবে তখনকার অবস্থা। (বুখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৪৫ হাদীস নং ৬৫২৭; মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৫৯)
১৮১৮. ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। এরপর বললেনঃনিশ্চয়ই তোমাদের হাশর করা হবে খালি পা, উলঙ্গ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। আয়াতঃ“যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছি তেমনিভাবে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করব।” আর ক্বিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম ইব্রাহীম (‘আ.)-কে পোশাক পরিধান করানো হবে। আমার উম্মাত থেকে কিছু লোককে আনা হবে আর তাদেরকে আনা হবে বামওয়ালাদের (বাম হাতে ‘আমালনামা প্রাপ্ত) ভিতর থেকে। তখন আমি বলব, হে প্রভু! এরা তো আমার উম্মাত। এরপর আল্লাহ্ তা‘আলা বলবেনঃনিশ্চয়ই তুমি জান না তোমার পরে এরা কী করেছে। তখন আমি আরয করব, যেমন আরয করেছে নেক্কার বান্দা অর্থাৎ ‘ঈসা (‘আ.) (আরবী) পর্যন্ত। অর্থাৎ যতদিন আমি ছিলাম আমি তাদের ওপর সাক্ষী ছিলাম” পর্যন্ত। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এরপর জবাব দেয়া হবে। এরা সর্বদাই দ্বীন থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনের ওপর বিদ্যমান ছিল। (বুখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৪৫ হাদীস নং ৬৫২৬; মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৬০)
১৮১৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ক্বিয়ামাতের দিন মানুষের হাশর হবে তিন প্রকারে। একদল তো হবে আল্লাহ্ তা‘আলার প্রতি আশিক ও দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত বান্দাদের। দ্বিতীয় দল হবে দু’জন, তিনজন, চারজন বা দশজন এক উটের ওপর আরোহণকারী। আর অবশিষ্ট যারা থাকবে অগ্নি তাদেরকে একত্রিত করে নেবে। যেখানে তারা থামবে আগুনও তাদের সঙ্গে সেখানে থামবে। তারা যেখানে রাত্রি যাপন করবে আগুনও সেখানে তাদের সঙ্গে রাত্রি যাপন করবে। তারা যেখানে সকাল করবে আগুনও সেখানে তাদের সঙ্গে সকাল করবে। যেখানে তাদের সন্ধ্যা হবে আগুনেরও সেখানে সন্ধ্যা হবে। (বুখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৪৫ হাদীস নং ৬৫২২; মুসলিম ৫১/১৪, হাঃ ২৮৬১)