দ্বীনী কাজের হেফাজত
মহান আল্লাহ বলেনঃ
ঈমানদার লোকদের জন্যে এখনো কি সে সময় আসেনি যে, তাদের হৃদয় আল্লাহর স্মরণে (যিক্র-এ) বিগলিত হবে, তাঁর নাযিলকৃত মহাসত্যের সামনে (তারা) অবনত হবে এবং তারা সেই লোকদের মতো হয়ে যাবে না, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল, অতঃপর একটা দীর্ঘ সময় তাদের ওপর দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে, তাতে তাদের হৃদয় শক্ত হয়ে গেছে; আজ তাদের অনেকেই ফাসেক হয়ে গেছে। (সূরা হাদীদঃ ১৬)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
আর আমি ঈসা ইবনে মরিয়মকে প্রেরণ করেছি এবং তাঁকে ইঞ্জিল কিতাব দিয়েছি। যারা তা মেনে চলেছে, তাদের হৃদয়ে আমি দয়া ও মমতার সৃষ্টি করে দিয়েছি। আর ‘রাহবানীয়াত’ তো তারা নিজেরাই বানিয়ে নিয়েছে। আমি সেটা তাদের ওপর বাধ্যতামূলক করে দেইনি। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে তারা নিজেরাই এই বিদ’আত বানিয়ে নিয়েছে। আর তারা তা সঠিকভাবে পালন করেনি। (সূরা হাদীদঃ ২৭)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
আর তোমরা সেই নারীর মতো হয়ে যেও না, যে নিজেই পরিশ্রম করে সূতা কেটেছে এবং পরে নিজেই সেটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। (সূরা নাহ্লঃ ৯২)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
আর তুমি জীবনে চরম মুহূর্ত অবধি তোমার প্রভুর (রব্ব) ইবাদতে নিরত থাকো, যার আগমন সম্পূর্ণ নিশ্চিত। (সূরা আল হিজাবঃ ৯৯)
এ অনুচ্ছেদে হযরত আয়েশা (রা) বর্ণিত হাদীসটিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এটি ইতোপূর্বে ১৪২ নং হাদীসে উদ্ধৃত হয়েছে। এতে হযরত আয়েশা (রা) বলেনঃ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় দ্বীনী কাজ তা-ই, যার ওপর তার কর্তা সর্বদা অবিচল থাকে।
১৫৩. হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা) বলেনঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতের বেলা নিজের অযীফা না পড়েই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যায় অথবা কিছু করা বাকী থেকে যায় অতঃপর ফজর ও যুহরের মাঝামাঝি পড়ে নেয়, তার জন্য (এমন সওয়াবই) লিখে দেওয়া হয় যে, সে যেন তা রাতের বেলায়ই পড়েছে। (মুসলিম)
১৫৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে ‘আস (রা) বলেন, আমাকে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘হে আবদুল্লাহ! (তুমি) অমুক লোকের মতো হয়ে না যে রাতে ইবাদত করতোঃ তারপর তা সে ছেড়ে দিয়েছে।’ (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৫. হযরত আয়েশা (রা) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের নামায কোনো কারণে বাদ পড়ে গেলে তিনি তার পরিবর্তে দিনের বেলা বারো রাকা’আত নামায পড়তেন। (মুসলিম)