যে ব্যক্তি (লোকদেরকে) ভালো কাজের আদেশ করে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, কিন্তু সে তদানুসারে কাজ করে না, তার শাস্তি সম্পর্কে
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
‘তোমরা লোকদেরকে ন্যায়ের পথ অবলম্বন করতে বলো; কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ কিতাব অধ্যায়ন করে থাকো; তোমরা কি বিচার-বুদ্ধিকে কোন কাজেই লাগাও না? (সূরা বাকারাঃ ৪৪)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা কেন এমন কথা বলো, যা কার্যত নিজেরাই মেনে চলো না? তোমরা এমন কথা বলো, যা তোমরা নিজেরাই মেনে চলছ না, আল্লাহর কাছে এটা খুবই আপত্তিকর বিষয়।’ (সূরা আস্-সাফঃ ২-৩)
মহান আল্লাহ হযরত শু’আইব (আ)-এর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেনঃ
‘আমি এটা চাই না যে, আমি তোমাদের বিপরীত সেই সব কাজ করি যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করছি’ (সূরা আল-হুদঃ ৮৮)
১৯৮. হযরত উসামা বিন্ যায়েদ (রা) বর্ণনা করেনঃ আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে এনে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে। এর ফলে তার নাড়ি-ভূঁড়ি বেরিয়ে আসবে। সে এটা নিয়ে বার বার চক্কর দিতে থাকবে, যেভাবে গাধা চক্রের মধ্যে বার বার ঘুরতে থাকে। দোযখীরা তার চারপাশে জড়ো হয়ে জিজ্ঞেস করবেঃ ‘হে অমুক! তোমার এরূপ অবস্থা কেন? তুমি কি লোকদেরকে সৎকাজের আদেশ দিতে না এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখতে না? জবাবে সে বলবেঃ হ্যাঁ, আমি সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি নিজে তা পালন করতাম না। আমি অন্যদেরকে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলতাম; কিন্তু নিজে তা মানতাম না। (বুখারী ও মুসলিম)