১৭০৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বলেন, যে এই গাছ অর্থাৎ রসুন জাতীয় কিছু ভক্ষণ করবে সে যেন মসজিদের কাছেও না আসে। (বুখারী ও মুসলিম)
১৭০৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বলেন, “যে এই জাতীয় সব্জি ভক্ষণ করবে সে যেন আমাদের কাছে না আসে এবং আমদের সাথে নামায আদায় না করে।” (বুখারী ও মুসলিম)
১৭০৫. হযরত জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) বলেন, “যে ব্যক্তি রসুন অথবা পিঁয়াজ ভক্ষণ করবে সে যেন আমাদের হতে অথবা আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে।” (বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিম শরীফের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি পিঁয়াজ রসুন গো-রসুন খাবে সে যেন আমাদের মসজিদের কাছে গমন না করে। কেননা যে সব বস্তুতে মানব কষ্ট পাবে, তাতে ফেরেশতাগণও কষ্ট পান।
১৭০৬. হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা) একদিন জুমুয়ার নামাযের দিন খুতবা দিলেন। তিনি তার খুতবায় বলেন, অতঃপর হে লোক সকল! তোমরা দু’টি সব্জি খেয়ে থাক। আমার দৃষ্টিতে ও দু’টি খারাপ জিনিস। তা হলো পিঁয়াজ-রসুন। আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ (স) মসজিদে কোন ব্যক্তির মুখ হতে এর গন্ধ পেলে তাকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিতেন। তাকে মসজিদ হতে বের করে বাকী নামক স্থানে পৌঁছে দেয়া হতো। তাই যে ব্যক্তি এ দু’টি জিনিস খেতে চায় সে যেন রান্না করে গন্ধ দূর করে নেয়। (মুসলিম)