১৭৫৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে এ কথা বলিতে শুনিয়াছি, এক বান্দা গুনাহ্ করিল। বর্ণনাকারী [আরবী] না বলে কখনো [আরবী] বলেছেন। তারপর সে বলিল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো গুনাহ্ করে ফেলেছি। বর্ণনাকারী [আরবী] এর স্থলে কখনো [আরবী] বলেছেন। তাই আমার গুনাহ্ ক্ষমা করে দাও। তার প্রতিপালক বললেনঃ আমার বান্দা কি একথা জেনেছে যে, তার রয়েছে একজন প্রতিপালক যিনি গুনাহ্ ক্ষমা করেন এবং এর কারণে শাস্তিও দেন। আমার বান্দাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। তারপর সে আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী কিছুকাল অবস্থান করিল এবং সে আবার গুনাহইতে লিপ্ত হলো। বর্ণনাকারীর সন্দেহ [আর-বী] কিংবা [আরবী] বলা হয়েছে। বান্দা আবার বলিল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আবার গুনাহ্ করে বসেছি। এখানে [আরবী] কিংবা [আরবী] বলা হয়েছে। আমার এ গুনাহ্ তুমি ক্ষমা করে দাও। এর প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তাআলা বললেনঃ আমার বান্দা কি জেনছে যে, তার রয়েছে একজন প্রতিপালক যিনি গুনাহ্ ক্ষমা করেন এবং এর কারণে শাস্তিও দেন। এরপর সে বান্দা আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী কিছুদিন সে অবস্থায় অবস্থান করিল। আবারও সে গুনাহইতে লিপ্ত হয়ে গেল। এখানে [আরবী] কিংবা [আরবী] বলা হয়েছে। সে বলিল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আরো একটি গুনাহ্ করে ফেলেছি। এখানে [আরবী] কিংবা [আরবী] বলা হয়েছে। আমার এ গুনাহ্ ক্ষমা করে দাও। তখন আল্লাহ্ বললেনঃ আমার বান্দা কি জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছেন, যিনি গুনাহ্ ক্ষমা করেন এবং এর কারণে শাস্তিও দেন। আমি আমার এ বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। এরূপ তিনবার বলিলেন। ** অতঃপর সে যা ইচ্ছা তা করুক।
[বোখারী পর্ব ৯৭ অধ্যায় ৩৫ হাদীস নং ৭৫০৭; মুসলিম ৪৯ অধ্যায় ৫ হাঃ ২৭৫৮] তাওবা -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস