পানাহার, পবিত্রতা অর্জন ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে স্বর্ণ ও রুপার পাত্র ব্যবহার করা নাজায়েয

১৭৯৭. উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বললেন, যে ব্যক্তি রুপার পাত্রে পান করে, সে যেন নিজের পেটে দোযখের আগুন ভর্তি করে। (বুখারী ও মুসলিম)

মুসলিম শরীফের আরেক বর্ণনায় রয়েছে, “যে ব্যক্তি সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করে।”


১৭৯৮. হযরত হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (স) আমাদের রেশমী বস্ত্র পরিধান করতে এবং সোনা-রুপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, এসব পৃথিবীতে কাফেরদের জন্য এবং পরকালে তোমাদের জন্য। ( বুখারী ও মুসলিম )

বুখারী ও মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, হযরত হুযায়ফা (র) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছি, রেশমী বস্ত্র পরিধান করো না, সোনা-রুপার পাত্রে পান করো না; ঐ ধাতুর তৈরি পাত্রেও আহার করো না।


১৭৯৯. হযরত আনাস ইবনে সিরীন (র) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালেক (রা) -এর সাথে অগ্নি উপাসকদের একটি দলের সঙ্গে ছিলাম। রুপার পাত্রে করে এক প্রকারের হালুয়া আনা হল। কিন্তু তিনি তা ভক্ষণ করলেন না। পরিবেশককে বলা হয় পরির্বতন করে আন। পাত্র বদল করে তা আবার পরিবেশন করা হলে তিনি তা ভক্ষণ করলেন। (বায়হাকী)


 

Was this article helpful?

Related Articles