পরচুলা লাগানো, উল্কি অংকন ও দাঁত চেঁছে চিকন করা হারাম
সূরা নিসা ১১৭-১২১
[Note: এ অধ্যায়ের কুরআনের আয়াত গুলো পরে আপডেট করা হবে]
১৬৪২. হযরত আসমা (রা) থেকে বর্ণিত। এক মহিলা করীম (স) কে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার কন্যার বসন্ত রোগ হয়েছে। ফলে তার মাথার চুল উঠে গিয়েছে। আর আমি তাকে বিয়ে দিয়েছি। তার মাথায় কি পরচুলা লাগাতে পারি? তিনি বললেন, আল্লাহ তায়ালা পরচুলা ব্যবহারকারিণী এবং যে ব্যবহার করায় উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)
১৬৪৩. হযরত হুমায়েদ ইবনে আবদুর রহামান (র) থেকে বর্ণিত। তিনি যে বছর হজ্জ করেছিলেন, সে বছর হযরত মুয়াবিয়া (রা) -কে গোলামের কাছ হতে এক গুচ্ছকেশ হতে নিয়ে মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, হে মদীনাবাসিগণ! তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি নবী করীম (স) -কে এরূপ চুল ব্যবহার করতে নিষেধ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, বনী ইসরাঈলের নারীরা যখন এরূপ কেশের গুচ্ছ (পরচুলা) ব্যবহার করা আরম্ভ করল, তখনই বনী ইসরাঈলীদের ধববংস আরম্ভ হল। (বুখারী ও মুসলিম)
১৬৪৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) পরচুলা ব্যবহারকরিণী, তা প্রস্তুতকারণী, উল্কি অঙ্কনকারিণী এবং যে নারী উল্কি অঙ্কন করায় তাদের সবাইকে অভিস্পাত করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম
১৬৪৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যেসব নারী দেহে উল্কি এঁকে নেয়, আর যারা এঁকে দেয়, সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দাঁত ঘর্ষণকারিণী এবং চোখের পাতা বা ভ্রূর চুল উৎপাটনকারিণী এবং এভাবে আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনয়নকারিণীদের আল্লাহ অভিস্পাত করেছেন। এক মহিলা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, যাকে রাসূলুল্লাহ (স) অভিসম্পাত করেছেন আমি তাকে কেন অভিস্পাত করব না। আর এটা পবিত্র কুরআনেও আছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “রাসূল তোমাদেরকে যা কিছু করতে বলেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যে বস্তু হতে বিরত থাকতে বলেন, তা হতে বিরত থাক।” (সূরা হাশর, ৭) (বুখারী ও মুসলিম)