আপন সন্তানাদি, পরিবারবর্গ এবং অধীনস্থ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আল্লাহর আনুগত্যের নির্দেশ দেয়া এর বিরুদ্ধাচরণ করতে বারণ করা, তাদেরকে সৌজন্য ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া এবং তাদেরকে নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে বিরত রাখা।
মহান আল্লাহ বলেনঃ
তোমার পরিবারবর্গকে নামায আদায়ের নির্দেশ দাও। (সূরা ত্ব-হাঃ ১৩২)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারবর্গকে আগুন থেকে বাঁচাও। (সূরা আততাহরীমঃ ৬)
২৯৮. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, একদা হাসান ইবনে আলী (রা) যাকাতের (সাদকার) একটি খেজুর তুলে নিয়ে মুখে দিলেন। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিরস্কারের সুরে তাঁকে বললেনঃ শীগগীর এটা ফেলে দাও। তুমি কি জাননা, আমরা সাদকার মাল খাইনা? (বুখারী ও মুসলিম) অপর এক বর্ণনা মতে, আমাদের জন্য সাদকার বস্তু-সামগ্রী হালাল নয়।
২৯৯. হযরত আবু হাফস ‘ইবনে উমর আবু সালামা (রা) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তত্ত্বাবধানে একটি বালক ছিলাম। খাওয়ার সময় আমার হাত পাত্রের এদিক-সেদিক ঘুরত। (এটা দেখে) রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমায় বললেনঃ ‘বৎস’ (মুখে) আল্লাহর নাম লও, ডান হাতে খাবার গ্রহণ করো এবং নিকটবর্তী স্থান থেকে খাবার খাও।’ এরপর থেকে আমি সর্বদা তাঁর শেখানো নিয়মেই খাবার গ্রহণ করি। (বুখারী ও মুসলিম)
৩০০. হযরত ইবনে ‘উমর বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইমাম (নেতা) একজন রক্ষক; তাঁকে তার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুরুষ (স্বামী) তার পরিবারবর্গের রক্ষক। তাকে এ রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। স্ত্রী তার স্বামীর সংসারের রক্ষক; তাকে এ রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে। খাদেম তার মুনিবের ধন-সম্পদের রক্ষক; তাকে তার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুতরাং তোমরা সকলেই রক্ষক এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
৩০১. হযরত ‘আমর ইবনে শু’আইব (রা) তাঁর পিতা ও দাদা সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সাত বছরেই পা রাখলেই তোমরা আপন সন্তানদের নামায পড়ার নির্দেশ দেবে। দশ বছরে পা রাখলেই (তখনও যদি নামায পড়ার অভ্যাস না হয় তবে) তাদেরকে নামায পড়ার জন্য দৈহিক সাজা দেবে এবং তাদের বিছানাও আলাদা করে দেবে। (আবু দাউদ)
৩০২. হযরত আবু সুরাইয়্যা সাব্রা ইবনে মা’বাদ আল-জুহানী (রা)-এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা সাত বছর বয়সেই শিশুদের নামায শিক্ষা দেবে। দশ বছর বয়সে (নামায না পড়লে) দৈহিকভাবে শাস্তি দেবে। (আবু দাউদ ও তিরমিযী) আবু দাউদের বর্ণনাঃ শিশু সাত বছরে পদার্পণ করলেই তাকে নামায পড়ার নির্দেশ দেবে।