১৬৪৫. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, এমন এক সময় আসবে যখন একদল লোক আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিবে। তাহাদেরকে জিজ্ঞেস করা হইবে, তোমাদের সঙ্গে কি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের কেউ আছেন? বলা হইবে, হ্যাঁ। অতঃপর [তাহাঁর বারাকাতে] বিজয় দান করা হইবে। অতঃপর এমন এক সময় আসবে, যখন জিজ্ঞেস করা হইবে, নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের সহচরদের মধ্যে কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছেন? বলা হইবে, হ্যাঁ, অতঃপর তাহাদের বিজয়দান করা হইবে। অতঃপর এক যুগ এমন আসবে যে, জিজ্ঞেস করা হইবে, তোমাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছেন, যিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের সহচরদের সাহচর্য লাভ করেছে, [তাবি-তাবিঈন]? বলা হইবে, হ্যাঁ। তখন তাহাদেরও বিজয় দান করা হইবে।
[বোখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ৭৬ হাদীস নং ২৮৯৭; মুসলিম ৪৪/৫২ হাঃ ২৫৩২]
১৬৪৬. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, আমার যুগের লোকেরাই সর্বোত্তম ব্যক্তি, অতঃপর যারা তাহাদের নিকটবর্তী। এরপরে এমন সব ব্যক্তি আসবে যারা কসম করার আগেই সাক্ষ্য দিবে, আবার সাক্ষ্য দেয়ার আগে কসম করে বসবে।
[বোখারী পর্ব ৫২ অধ্যায় ৯ হাদীস নং ২৬৫২; মুসলিম ৪৪/৫২ হাঃ ২৫৩৩]
১৬৪৭. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, আমার যুগের লোকেরাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। অতঃপর তাহাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা, অতঃপর তাহাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা। ইমরান [রাদি.] বলেন, আমি বলিতে পারছি না, নাবী [সাঃআঃ] [তাহাঁর যুগের] পরে দুই যুগের কথা বলছিলেন, না তিন যুগের কথা। নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের পর এমন লোকেরা আসবে, যারা খিয়ানত করিবে, আমানত রক্ষা করিবে না। সাক্ষ্য দিতে না ডাকলেও তারা সাক্ষ্য দিবে। তারা মান্নত করিবে কিন্তু তা পূর্ণ করিবে না। তাহাদের মধ্যে মেদওয়ালাদের প্রকাশ ঘটবে।
[বোখারী পর্ব ৫২ অধ্যায় ৯ হাদীস নং ২৬৫১; মুসলিম ৪৪/৫২ হাঃ ২৫৩৫]